রাজধানীর চকবাজার এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদলের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ করার কারণে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এতে ছাত্রশিবিরের ৩ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ ও ২২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত ১০টায় সন্ত্রাসীরা চকবাজার থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও সেক্রেটারি মুমিনুল হক বলেন, "চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা বাদশাহর অনুসারীরা কিছুদিন পূর্বে ভ্যান থেকে চাঁদাবাজি করতে গেলে ছাত্রশিবিরের জনশক্তি মো. আরিফ স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। উক্ত ঘটনার ক্ষোভে আজ রাতে আরিফকে একা পেয়ে চাঁদাবাজ বাদশাহর অনুসারীরা আরিফকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে থানায় নিয়ে যায়। অথচ আরিফ স্বৈরাচারীর আমলে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক মামলায় ছাত্রশিবির হিসেবে গ্রেফতার হয়। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে গিয়ে গুরুতর আহত হন।"
নেতৃবৃন্দ বলেন, "ঘটনা জানতে পেরে আরিফকে ছাড়াতে তার ক্লাসমেটসহ শিবিরের কয়েকজন দায়িত্বশীল থানায় যান। এ সময় আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা বহিষ্কৃত যুবদল নেতা বাদশাহর নেতৃত্বে যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ভারী ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহত গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী জাবেরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাকে এখন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।"
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, "মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় পুরো জাতি যেখানে শোকে স্তব্ধ, সেখানে যুবদল ও ছাত্রদলের এহেন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আমরা হতবাক। তাদের এ ধরনের চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম কোনোভাবেই চলতে পারে না। আমরা ছাত্রশিবিরের জনশক্তি ও শিক্ষার্থীদের ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান করছি।"
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকদের ঘটনার আসল সত্যতা যাচাই করে সংবাদ প্রচারের জন্য অনুরোধ করেন।
কেকে/এআর