যশোরের কেশবপুরের গড়ভাঙ্গা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের টাইম স্কেলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা নিয়ে গড়িমসি করায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি মাদ্রাসা ত্যাগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গড়ভাঙ্গা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার রেজাউল ইসলাম তার অদক্ষতাকে আড়াল করতে সঠিকভাবে অফিস না করে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে চলে যান। মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের জিম্মি করে বিভিন্ন কাজ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রভাত দেবনাথের কাছে থেকে ৫৪ হাজার,শিক্ষক মতিয়ার রহমানের কাছ থেকে ২০ হাজার, নূরুল হুদার কাছ থেকে ২০ হাজার, শামিয়া শাপলার কাছ থেকে ২৪ হাজার, কর্মচারী আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে ১৭ হাজার, সহসুপার আহসানউল্লাহর কাছ থেকে ১০ হাজার ও শিক্ষক আব্দুল লতিফের কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করেন।
২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি পর্যায়ক্রমে ২ লক্ষ ১২ হাজার ৭ শত ছাব্বিশ টাকা, প্রতিষ্ঠানের ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা ও সর্বশেষ টিউশন ফি ৫৪ হাজার টাকা মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের ক্যাশ খাতায় দেখানো হয়নি বলে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা জানান। যার সমুদ্বয় টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়া শিক্ষকদের টাইম স্কেল ধরানোর নামে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। মাদ্রাসার প্যাডে সুপার রিজাউল ইসলাম ২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন। ৮ মাস গত হলেও শিক্ষকদের সে টাকা আজও ফেরত দেওয়া হয়নি। এছাড়া তিনি পতিত আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো নিয়মনীতি তোয়াক্কা করেনি।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একই পদে একাধিক ব্যক্তির কাছে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাকরি না দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। তার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা এলাকায় মাইকিং ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
রোববার সুপার রেজাউল ইসলামের কাছে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি-এর বিষয় জানতে চাইলে তিনি শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে চলে আসেন। অভিযোগের বিষয়ে সুপার রেজাউল ইসলামের ফোন নম্বরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, ইতঃপূর্বে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য আইসিটি কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
কেকে/এএস