প্রবাসীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, মুন্সিগঞ্জের হাজারো মানুষ প্রবাসে থাকেন। আমরা সেই প্রবাসীদের ভোটাধিকার পক্ষে কথা বলছি। অনেকেই বলেছেন প্রবাসীদের কোনো অবদান নেই। মুন্সিগঞ্জবাসী আপনাদের পরিবারের যে সকল সদস্য প্রবাসে থাকে, তাদের সচেতন হতে বলবেন। তারা বাংলাদেশের অংশ, আমরা তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংক মোড়ে দেশ গড়তে ‘জুলাই পদযাত্রা’র পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সামনে আমাদের আরো একটি লড়াই আসছে। আমরা সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা জানি আমাদের লড়াই অনেকের সঙ্গে করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মুন্সিগঞ্জ মহৎ মানুষদের জন্ম দেয়, প্রতিবাদী মানুষদের জন্ম দেয়। ইদ্রাকপুর ও বিক্রমপুরের ইতিহাসকে ধারণ করে মুন্সিগঞ্জকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। পদ্মা-মেঘনার দাপটে আমরা জানি নদী ভাঙন হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। চাঁদাবাজি হচ্ছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়।
আরো পড়ুন : ‘মুজিববাদ-ফ্যাসিবাদ’ শেষ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে : নাহিদ
এ সময় মুন্সিগঞ্জ জেলা এনসিপির সমন্বয়ক কমিটির আহ্বায়ক মাজেদুর ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিনাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন—এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. মেহেদী হাসান, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী গাজী আব্দুল আলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
এনসিপির দক্ষিনাঞ্চলের দক্ষিনাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে। এই ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলমতকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমাদের এই বাংলাদেশ পরিপূর্ণ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হইনি। বরং ফ্যাসিস্টদের দোসরমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ হতে এখনো অনেক পথ বাকি। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সেই পথ পাড়ি দিতে হবে।
কেকে/এএম