যশোরের কেশবপুরে বর্ষার প্রথম মাস আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে আমন আবাদের বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আগাম আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। বর্ষা মৌসুমের মাস আষাঢ়ের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে রিমঝিম বৃষ্টি। বিরতিহীনভাবে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব অঞ্চলের চাষিরা আগাম রোপণের জন্য যে সব বীজতলা তৈরি করেছিল তার অধিকাংশই পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে আগাম আমন আবাদে নিয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে চাষি পর্যায় ৪৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান চাষিরা নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় ইতোমধ্যেই উফশী ও হাইব্রিড জাতের ধানের ২১৬ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে উফশী জাতের ৩৯, ৪৯, ৭৫, ৮৭, ৯০ এবং উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মধ্যে ৯৪, ১০৩, সিনজেন্টার উইং ২০৭ ও এজেড-৭০০৬ রয়েছে। ফেলে রাখা জমিতে আগে চারা রোপণের জন্য কৃষকেরা উঁচু ও ডাঙ্গা জমিতে এসব ধানের আগাম বীজতলা তৈরি করেন। কিন্তু ঋতুর বৈরীতায় এসব বীজতলার মধ্যে ১২ হেক্টর জমির বীজতলা সম্পূর্ণ ও আরো প্রায় ২০ হেক্টর জমির বীজতলা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কৃষকরা আগাম রোপণ নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টানা বৃষ্টিতে কৃষকের কিছু বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সামনে বীজতলা তৈরির মৌসুম থাকায় তারা নতুন করে আবার বীজতলা তৈরি করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
কেকে/এএম