দেশে আবারো নতুনভাবে দেখা দিয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। ধরন পাল্টে করোনা ভাইরাস আবারো মহামারি আকার ধারণ করার সম্ভাবনা বাড়ছে। এদিকে সারাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও কীটের অভাবে রোগ শনাক্ত করতে পারছে না পার্বত্য জেলা বান্দরবানের হাসপাতালগুলোতে।
সুত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যখন করোনা রোগী শনাক্তে পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। উল্টো চিত্র পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। কীটের অভাবে জেলার ৭টি উপজেলায় এখনো হচ্ছে না করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা। জ্বর,সর্দি-কাশিসহ নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা করতে গেলে শুধু ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড আর ডেঙ্গুর নমুনা পরীক্ষা করতে পারছে, কীটের অভাবে এখনও শুরু হয়নি করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের কাজ।
বান্দরবান সদর হাসপাতালে জ্বর, সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করতে আসা রোগী মো. আকবর বলেন, গত ৩ দিন যাবৎ আমার জ্বর, সর্দি-কাশি। তাই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছি, এখানে অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু কীট না থাকায় করোনার পরীক্ষা করতে পারছে না।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী জাহানারা বেগম বলেন, বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা করা এখনো শুরু হয়নি, দ্রুত পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত করা প্রয়োজন, তা না হলে এই রোগ দ্রুত সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে। মহামারি করোনা ভাইরাসের রোগ থেকে মুক্ত থাকতে এবং রোগ নিরুপণে দ্রুত সময়ে বান্দরবানে কীট সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বান্দরবানের ৭ উপজেলায় ৩ হাজার ৩শ ২৮জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল আর মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। আর এবার ১০ জুন প্রথম বান্দরবানের লামায় একজন নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে আইসোলেশনে রয়েছে।
এদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে আর বান্দরবানের সাধারণ জনগণকে করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য দ্রুত সময়ে কীট আনা হবে এবং পরীক্ষা শেষে শনাক্ত রোগীদের আইসোলেশনের ব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিসা ও পর্যাপ্ত ওষুধ প্রদান করা হবে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমি যোগদান করেছি বান্দরবানে মাত্র ২ মাস হলো, আর আমি যোগদানের পরপরই বান্দরবানের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য এবং করোনা পরীক্ষার কীটের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং আশা করছি দ্রুত সময়ে বান্দরবানে করোনা পরীক্ষার কীট চলে আসবে এবং আমরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করে দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবো।
কেকে/এজে