ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, যারা গণতন্ত্র নিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, তাদের নিজেদের দলে গণতন্ত্রের কোনো চর্চা নেই। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবেই।
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা-১৭ ও ঢাকা-১৩ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূল নেতাদের মতামত গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে দলীয় নমিনেশন বাণিজ্যের দরজা লক করে দেওয়া সম্ভব। যারা অপরাজনীতির চর্চা করে, তাদের জন্য এই মডেল হতে পারে শিক্ষণীয়। তৃণমূলকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে নমিনেশন চাপিয়ে দেওয়ার দিন শেষ হওয়া উচিত।
ইসলামী আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা রাজনীতিতে একটি নতুন মডেল উপহার দিয়েছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলের মতামতকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ এদেশের মানুষ এখন শুধু নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সংস্কার চায়। পেশিশক্তি, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতির রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
মাসউদ বলেন, আমরা একসময় জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এক ফ্যাসিবাদী শক্তিকে বিতাড়িত করেছি। এখন আবার আরেকটি দল সেই একই ফ্যাসিবাদী চরিত্রে অবতীর্ণ হয়েছে। তারা নির্বাচন নামক তসবীহ ঝপঝপ করে পুনরায় ফ্যাসিবাদকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, যত বাধাই আসুক, আমরা প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার করেই ছাড়ব, ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন—ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহদফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকতুল্লাহ লতিফ, মুফতী ফয়জুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোস্তফা আল মামুন মনির, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মাছউদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার আমিনুল হক তালুকদার, মুফতী আব্দুল কুদ্দুস রশিদী, মুফতী মুসতাকীম বিল্লা ও মুফতী আরমান হোসাইন প্রমুখ।
কেকে/এএম