রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৪ নম্বর মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেজর আলী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন ওয়ার্ড সদস্যরা।
গত রোববার (১৫ জুন) ওয়ার্ড সদস্যরা এ অভিযোগ দেন বলে জানা যায়।
অভিযোগ কারীরা হলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য একরাম আলী, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাসির উদ্দীন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জালাল মন্ডল, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোজাফফর হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান মেজর আলী বিশ্বাস বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশান সনদ, ট্যাক্স, গোপালপুর দিঘির ইজারার টাকা, দোকান ঘরের ভাড়ার টাকা আত্মসাত করেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ভাতার কার্ড ও বরাদ্দ বন্টনে অনিয়ম করেছেন। এমতাবস্থায় সদস্যরা চেয়ারম্যানের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে বলে উল্লেখ করে।
তবে এসব অভিযোগ অপ্রাসঙ্গিক ও চক্রান্তের অংশ বলে দাবি করেছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেজর আলী বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্য। সে সময় অধিকাংশ ওয়ার্ড সদস্য আওয়ামী পন্থী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে পরিষদের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এমতাবস্থায় আওয়ামী পন্থী ওয়ার্ড সদস্যরা আওয়ামী লীগের দোসর পালাতক চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাসের সাথে মিলে চক্রান্ত করে আমাকে পরিষদ থেকে সরাতে চাচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগের একাধিক ফেসবুক পেজ থেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মেজর আলী বিশ্বাস বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পর উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে পরিষদের কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তারা করেছে, তা তদন্ত হলে আপনারা আরো পরিস্কার হবেন। আর আমার বিরুদ্ধে সকল মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
কেকে/এআর