মানবতার চরম বিপর্যয়, এক ঘরে ধুমধাম বিয়ের আয়োজন অন্য ঘরে স্বজন হারানো কান্না। এ এক হৃদয়বিদারক ঘন কালো মেঘের ছায়া। একইসঙ্গে লাশের খাট বহনে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৪ জুন) নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দক্ষিণ রামনারায়নপুর মাইন উদ্দিন বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, জহুরুল ইসলাম (৫৫) দীর্ঘ দিন যাবত অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিয়তির কি চরম পরিণতি। মৃত্যুর ৮ ঘণ্টা পরেও লাশ বহনের চলাচলের পথে বাধা। প্রতিবেশী বন্ধ করে রেখেছে চলাচলের পথ। চলাচলের পথে বরই কাঁটার ঢাল কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন। মৃত্যুর ৮ ঘন্টা পরেও কবরস্থানে লাশ নেওয়ার কোন উপায় না থাকায়, বিকল্প রাস্তা দিয়ে লাশ কবরস্থানের নেওয়ার এক মিনিটের পথ লাগলো ৩০ মিনিট।
একই এলাকার পার্শ্ববর্তী বাড়ি নূরনবী দফাদার ও তার স্ত্রী মরিয়মের নেছা দীর্ঘদিন যাবত প্রায় ৩০টি পরিবারের চলাচলের পথ বিভিন্নভাবে বাধা দিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবত চলাচলের পথ বাধা সৃষ্টি করে, মানবতাকে হার মানিয়েছে। এলাকার স্থানীয়রা বারবার মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় সুরাহ করা সম্ভব হয়নি। বারবার অমান্য করেছেন স্থানীয় শালিশ।
স্থানীয়রা আরো জানিয়েছেন, এ রাস্তাটি দিয়ে প্রাইমারি স্কুল, নুরানি মাদরাসা, মসজিদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চলাচলের অন্যতম উপায়। আমরা এমন প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্টদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বাহার জানান, একাধিকবার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সত্ত্বেও অভিযুক্তরা কোন প্রকার আইন মানছেন না। স্থানীয় সালিশ এবং ভূমি অফিস কতৃক রায় দেওয়ার পরেও অভিযুক্তরা আইন না মেনে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।
কেকে/এজে