কক্সবাজারের চকরিয়ায় বনবিভাগের অভিযানে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা নতুন সাতটি বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে বনবিভাগ বিপুল পরিমাণ বনভূমি উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর একটার দিকে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়াখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহেরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুরে সংরক্ষিত বনবিটের শান্তিপুর নামক পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর বিট কাম স্টেশন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন, মানিকপুর ও ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের বিভিন্ন বনবিটের বিট কর্মকর্তা ও স্টাফরা এই অভিযানে অংশগ্রহন করেন।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহেরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে কতিপয় দখলবাজ চক্র জড়ো হয়ে মানিকপুর বনবিটের অধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের শান্তিপুর নামক পাহাড়ি এলাকায় বিপুল পরিমাণ বনভূমি জবরদখল করে নেন। পরে সেখানে প্লট ভিত্তিক বনভুমি বিক্রি করে কৌশলে অবৈধ স্থাপনা (বসতি তৈরি) শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, বনভুমি জবরদখলের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন বনকর্মীরা। এ সময় অবৈধভাবে বনের ভেতরে জায়গা জবরদখল করে তেরপল, পলিথিন ও টিনের বেড়া দ্বারা সদ্য নির্মিত ৭টি অবৈধ বসতি (ঘর) উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে বনবিভাগ, এসময় বিপুল পরিমাণ বনভূমি উদ্ধার করেছে। সরকারি বনভুমি জবরদখল চেষ্টা টেকাতে বনবিভাগের ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন।
কেকে/এআর