চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে মিলছে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা।
সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় দৈনিক খোলা কাগজের অনলাইনে ‘কাগজে-কলমে সেবা, বাস্তবে দেখা নেই’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়েন নেটিজেনরা। পরে টনক নড়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদফতর অফিসের। সোমবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে চলে তাদের সেবা কার্যক্রম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর জানিয়েছে, উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ২৯টি পশুরহাটে ৮টি মনিটরিং দল গঠন করা হয়েছে বাজার তদারকির জন্য। সোমবার উপজেলার বাগান বাজারের চিকনছড়া বাজার ও নারায়ণহাট বাজারে একজন সার্জনসহ মোট ৮ জন সদস্য কাজ করছে। এছাড়া নাজিরহাট বাজারে ৭ জনের একটি টিম হাটে আসা গরু-ছাগল প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে বাগানবাজার ও বিকালে নারায়ণহাট পশুরহাটে সরেজমিনে মেলে এর সত্যতা। উপজেলার চিকনছড়া গরু বাজারের ইউনিয়ন পরিষদের মূল ফটকে মিলছে ভেটেরিনারি সেবা। কাঙ্ক্ষিত সেবা পেয়ে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। রামগড় থেকে গরু নিয়ে আসা রহিম মিয়া বলেন, ‘গাড়িতে করে সকালে ৮টি গরু নিয়ে বাজারে এসেছি। হঠাৎ একটি গরু অসুস্থ্ হয়ে শুয়ে পড়ে। প্রাণীসম্পদের চিকিৎসকরা তাৎক্ষনিক সেবা দিয়ে গরুটিকে সুস্থ করে তোলে।’
নাজিরহাট থেকে নারায়ণহাট বাজারে গরু কিনতে আসা মো. জানে আলম জানান, বাজারে আসা পশুদের সেবা দেয়ার জন্য প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে মোবাইল ভেটেরিনারি টিমের বুথ বসানো হয়েছে। যেখানে মিলছে সেবা। বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে।
চিকনছড়া বাজারের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম লিডার পরিতোষ চাকমা বলেন, আমরা নিয়মিত বাজারে টহলে থাকি। যেখানে গরু অসুস্থ্ হচ্ছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল মমিন বলেন, আমাদের দফতরে লোকবল কম। তারপরও অল্প জনবল নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি পশুরহাটে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু রাখতে। গঠিত ঠিমগুলো তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন পশুরহাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার লক্ষ্যে আমি নিজে টিমগুলোর কার্যক্রম তদারকি করছি।
কেকে/এজে