টানা বৃষ্টির প্রভাবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পথচারী ও স্থানীয়রা। প্রভাব পড়েছে কুরবানির পশুর হাটে। এ ছাড়াও পানি আটকে পূর্বাচলের হাবিবনগরের প্রায় শতাধিক ঘর বাড়িতে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সড়কটি চলাচল অব্যাহত রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বাছির উদ্দিন বাচ্চুসহ স্থানীয়রা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর ডেমড়া থেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া, রূপগঞ্জ সদর, দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকা দিয়ে এলজিইডির নির্মাণাধীন সড়ক রয়েছে। যাতে ৮৫ কোটি টাকার কাজ চলমান। কিন্তু সড়কটির বেশ কিছু স্থানে কাজ বাকি রেখে ঠিকাদারের নিয়োজিত লোক লাপাত্তা হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, ঈদের ছুটির নামে শ্রমিকরাও মালামাল রেখে চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হাবিবনগর থেকে পূর্বাচল সংযোগ সেতু এলাকার লোকজন। খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ করতে গিয়ে পানি আটকে দেওয়ায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে ব্রাহ্মণখালী এলাকায়। এতে তলিয়ে গেছে শত শত ঘর বাড়ি। এদিকে কৃত্রিম বন্যার পানি থেকে রেহাই পেতে স্থানীয়রা খালের বাঁধ ভেঙে দিলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সড়কটি। এতে আশপাশের জেলা ও উপজেলাসহ স্থানীয় গ্রামবাসীর চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছি আমরা। বহু ঘর বাড়িতে পানি। ঠিকাদার এবং উপজেলা প্রশাসনকে বারবার বলার পরেও এটির ব্যবস্থা করছেন না। তাই আমি নিজ উদ্যোগে সড়ক চলাচল রাখতে অস্থায়ী মেরামত করে দিচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা মিয়া বলেন, এলজিইডি প্রকৌশলী ও ঠিকাদার কারোই যেন দায় নেই। তারা আমাদের ভোগান্তিতে রেখে চলে গেছে।
ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মোশাররফ মিয়া বলেন, ঈদের ছুটির জন্যে শ্রমিকরা চলে যাওয়াতে সমস্যা হয়েছে। ঈদের পর সমস্যা থাকবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলম শ্যামল বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এ সড়কটির কাজ শেষ হবে। ঠিকাদারকে আমরা তাগাদা দিচ্ছি। তবে যেহেতু এখানে নতুন সেতু হবে সেহেতু সাময়িক ভোগান্তি হবেই।
কেক/এএম