শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহিদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচী ও প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদ ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন (ইউট্যাব) এর উদ্যোগে এ সেমিনার আয়োজিত হয়।
ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে ও জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় ইউট্যাবের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৯ দফার শতভাগ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এটি করলে খুন, রাহাজানি, চুরি, ছিনতাই, দুর্নীতি লুটপাট সব বন্ধ হবে। আমরা পিছিয়ে গেছি কারণ আধুনিক শিক্ষার সাথে ইসলামি শিক্ষার সমন্বয় করতে পারিনি। এজন্যই তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাব।
প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির পথ তিনি ১৯ দফায় দিয়ে গিয়েছেন। তার প্রবন্ধের মূল বক্তব্যই হচ্ছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় এসেই কমনওয়েলথ সম্মেলনে তিনি পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত না করার প্রতিবাদ করেছিলেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের কথা শহিদ রাষ্ট্রপতি ১৯ দফাতেই বলে গেছেন। ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অনেক আগেই জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে গেছেন, নতুন করে সারজিস হাসনাতের জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়ার কোন প্রয়োজন নাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দল তৈরীর পরে একটি দলও কিন্তু এখনো বলেনি যে আমরা জাতীয়তাবাদী আদর্শের ধারক বাহক। শহিদ রাষ্ট্রপতির স্বার্থকতা এখানেই যেখানে তিনি জাতীয়তাবাদের ধারণা দিয়েছেন। তিনি মনে করতেন জনগণের সম্পর্ক হবে রাষ্ট্রের সাথে। একটি আদর্শ এবং একটা দর্শন যদি কেও দেয় সেটা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন যে এই দর্শনে কোন ভূল নেই। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তার এই জাতীয়তাবাদী ধারণা বেচে থাকবে।
উপাচার্য আরো বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি প্রকল্পের ১৫ টি কর্মসূচীর সাথে আপনারা শহিদ জিয়ার ১৯ দফা মিলিয়ে পড়ে দেখলে দেখবেন প্রতিটি ক্ষেত্রের কথাই এখানে উল্লেখ আছে। তিনি ৪৪ বছর আগে শাহাদাত বরণের আগে রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য যা বলে গিয়েছিলেন সেগুলোই আজকে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে। কীভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনর্জীবিত করেছিলেন সেগুলো আপনারা পড়ে দেখবেন এবং নিজেরা সেগুলো ধারণ করবেন। তিনি দেশের মানুষের বিশ্বাসের সাথে আজীবন বেঁচে থাকবেন।
কেকে/ এমএস