গাজীপুর সদর এলাকার বহুল আলোচিত হাক্কানি হাউজিং সোসাইটির দশতলা ভবন "এফকেএস মউহার"-এর নকশা লঙ্ঘন সংক্রান্ত মামলার (নং ১১৪/২০২৪) দীর্ঘ শুনানি শেষে চূড়ান্ত আর্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এ আর্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আর্দেশে রাজউক-গাউককে ছয় মাসের মধ্যে সমন্বিতভাবে ভবনটি সংশোধন করে অনুমোদিত নকশার সাথে মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সংস্কার চলাকালীন যদি মামলার বাদী ও ওই ভবনের বসবাসকারী কোন বাসিন্দার অস্থায়ীভাবে ভবন ত্যাগ করতে হয় তাহলে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান (জেসমিন বিল্ডার্স)কে ওই সময়ের জন্য উপযুক্ত বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, মামলা দায়ের এর পর রাজউকের তদন্ত প্রতিবেদনে ভবনের নকশা লঙ্ঘনের একাধিক গুরুতর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিটি তলায় ভয়েডের মুখ বন্ধ, জরুরি প্রস্থান পথ না থাকা, সিঁড়ির আকারে বিভ্রান্তি, সিঁড়ি ২টার জায়গায় ১টি এবং সীমানা প্রাচীরের নকশা লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন হাইকোর্ট।
বাদী মনোয়ারা বেগম বলেন, একটি সুন্দর বাগানবাড়ীর পরিবর্তে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান (জেসমিন বিল্ডার্স) রাজনৈতিক প্রভাব ও বিভিন্ন শক্তিশালী মহলের সহায়তায় জোড়পূর্বক দশতলা ভবন নির্মাণ করে তাকে ও তার পরিবারকে মানসিকভাবে নিপীড়ন করে আসছিল। নকশা লঙ্ঘন করে নানাবিধ অনিয়ম ও প্রতারণা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনটি নির্মাণ করে তারা। এ সময় প্রতিবাদ করায় তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। এক পর্যায়ে আইনি সহায়তা পেতে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত থেকে ন্যায় বিচার পেয়ে তিনি সন্তুষ্টি ও স্বস্তি প্রকাশ করেন।
মামলার শুনানিতে বাদীর পক্ষে অংশ নেন ব্যারিস্টার মো. তৌফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট হাসান মাহমুদ খান ও অ্যাডভোকেট জহির। রাজউক, গাউক এবং ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন ও এডভোকেট নাদিম শুনানিতে অংশ নেন।
কেকে/এআর