গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাকশ্রমিক আকলিমা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (২১ মে) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুর কান্না শুনে পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া গিয়ে ঘরের মেঝেতে রক্তমাখা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত আকলিমা আক্তার (৩০) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ইমোরিয়া গ্রামের আদনান ইসলামের স্ত্রী। তারা আবদার গ্রামের জনৈক জয়নাল আবেদীনের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
পাশের ভাড়াটিয়া নূরুন্নাহার জানান, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পাশের রুম থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। দীর্ঘক্ষণ কান্না চলায় তিনি দরজা ফাঁক করে উঁকি দিয়ে নারীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মরদেহের পাশেই ৬ মাস বয়সী তোয়া মনি কান্না করছিল। আকলিমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।
স্থানীয়দের দাবি, দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। ঘটনার আগের দিনও তাদের মধ্যে মারামারি হয়।
নিহতের ছোট ভাই শামীম ইসলাম বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার বোন স্বামীর নির্যাতনের শিকার হতো। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সেসব সহ্য করেই সংসার চালাত। স্বামী ঠিকমতো কাজ করত না, বোনই কারখানায় কাজ করে সংসার চালাত।
বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, তারা দুই বছর ধরে ওই বাসায় ভাড়া ছিলেন। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এবং পরে পুলিশে খবর দেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক। স্বামী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
তিনি আরো জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
কেকে/এএম