তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চতুর্থ দিনের মতো মঙ্গলবারও আন্দোলন করেছে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির ছাত্ররা। এর আগে ১৭ মে ছাত্ররা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন। পরে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ্যর কাছে স্মারক লিপি প্রদান করে।
এদিকে দু-দিন আন্দোলনের পরেও ছাত্রদের দাবি আদায় না হলে ১৯ মে (সোমবার) থেকে পূর্ণ সাটডাউন কর্মসূচি শুরু করে। আজ (মঙ্গলবার) সাটডাউন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে।
মেরিন ও শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ সমন্বায়ক সাদ ইবনে শরীফ জানান, মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদানের জন্য অনূর্ধ্ব ছয় মাসের প্রি-সী ট্রেনিং এর মাধ্যমে ক্যাডেট সিডিসি প্রদান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অধীনস্ত ইঞ্জিন ও মেশিন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগ বিধান চালু এবং প্রশিক্ষণের মান উন্নত করণসহ তিন দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এদিকে আন্দোলনরত ছাত্ররা জানায়, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, ফরিদপুর, এবং বাগেরহাটের বিআইএমটি গুলোতে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি) প্রি-সী ট্রেনিং (সাগরে জাহাজে চাকরির জন্য করা ট্রেনিং) এর সুযোগ নেই। যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের অর্ন্তভুক্ত রয়েছে সেখান থেকে এ পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্ন্তভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম যে, হয় আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রি-সী ট্রেনিং চালু করা হোক, নতুবা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অর্ন্তভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক। দীর্ঘদিন এই দাবী জানিয়ে আসলেও সেটি করা হচ্ছে না। যার কারণে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। তাই আমরা আমাদের যেসব দাবি আছে সেগুলো আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।
এদিকে ছাত্রদের এই আন্দোলনকে যৌক্তিক বলছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরাও।
ইন্সট্রাক্টর এ হাফিজ জানান, ছাত্রদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পুরণের।
কেকে/ এমএস