ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের কিছু পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ জারি করে। ফলে হঠাৎ করে ভারতের এমন নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তর বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের ট্রাক।
শনিবার (১৭ মে) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর ডিজিএফটি প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি স্থলবন্দর দিয়ে রেডিমেড গার্মেন্টস, কটন, কটন ইয়ার্ন ওয়েস্ট, ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলার বর্জ্য, প্লাস্টিকের পণ্য (পণ্য তৈরির জন্য নির্দিষ্ট উপকরণ ব্যতীত), প্লাস্টিক ও পিবিসি জাত তৈরি পণ্য এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভারত মাছ, ভোজ্যতেল, এলপিজি ও ভাঙা পাথর– এ চার ধরনের পণ্য আমদানি অব্যাহত রাখবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে, ভারত হয়ে নেপাল বা ভুটানে এসব পণ্য যাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না বলে জানানো হয়।
এর আগে, ভারত থেকে বেনাপোল,বুড়িমারী স্থলবন্দর, বাংলাবান্ধা, ভোমরা, সোনামসজিদ দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় এনবিআর।
অন্যদিকে, গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে রফতানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানিযোগ্য পণ্য নিষিদ্ধে বিপাকে পড়েছেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের কিছু পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করলে সীমান্তে আটকা পড়েছে বাংলাদেশি পণ্য যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট কিছু বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতায় বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে জারিকৃত উক্ত পণ্যের রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ভারতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানির অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি প্রাণ গ্রুপের জুসের পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়ে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানি বিধিনিষেধ করায় ব্যবসায়িক মহল মনে করছেন, ভারত হঠাৎ করেই এমন সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ফাটল ধরবে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রফতানির ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ সমুদ্র কিংবা আকাশ পথে পণ্য রফতানি অনেক ব্যয়বহুল। অতি দ্রুত সংকট সমাধানে দু’দেশের কূটনৈতিক উদ্যোগ জরুরি।
কেকে/ এমএস