নীলফামারীর ডোমারে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে উপজেলা শহরের রেলঘুণ্টি মোড়ে ডোমার ও ডিমলাবাসীর ব্যানারে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় দাবি করা হয় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিদ্যুৎখাতে লুটপাটের জন্য ওই প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রকল্প হতে নেয়। ওই প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে ডিজিটাল লুটপাট চলছে।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা দেন ডোমার উপজেলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. মাহির মিলন, অর্নব আহমেদ, ডোমার উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান, সাংবাদিক ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রিপেইড মিটার স্থাপন আমরা চাই না। এই প্রকল্প থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। যার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে ডিজিটাল লুটপাট চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। জোর করে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে।’
ডোমার উপজেলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরকারের একটি সেবা খাত। কৃষক কেন আগে টাকা দিয়ে পরে বিদ্যুৎ নেবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল চুরি হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জসহ বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুতের ওই মূল্যের সঙ্গে আবারো এসব চার্জ গ্রহণ করে। তারা বিদ্যুতের মূল্যের বাহিরে প্রতি মাসে এক ফেস মিটারে ২০০ টাকা এবং ৩ ফেস মিটারে এক হাজার টাকা কেটে নেয়। এর আইনি কোনো ভিত্তি নেই। আমরা এসব অনিয়ম বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ডোমারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নওশাদ আলম বলেন, গ্রাহকরা আন্দোলন করতেই পারেন। তবে গ্রাহকদের এ মিটারের সুবিধাগুলো বুঝতে হবে। প্রিপেইড মিটারে গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই। অনেক সময় মিটার রিডাররা ভুল করে গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল প্রদান করে থাকেন। এতে হয়রানির শিকার হন গ্রাহকরা। প্রিপেইড মিটারে গ্রাহক হয়রানি শতভাগ বন্ধ হবে। এ কারণে অনেক গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের জন্য আবেদন করছেন।’
নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, তার কার্যালয়ের অধীনে ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় মোট গ্রাহক সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬৭৩ জন। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯০০টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
কেকে/এএম