মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু আসিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ১৭ মে রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ আদেশ দেন।
সরকারের বিশেষ গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি মাত্র ১২ কর্মদিবসে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সামাজি বলেন, প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থাপিত সব সাক্ষ্য-প্রমাণ, হিটু শেখের স্বীকারোক্তি, মেডিকেল রিপোর্টসহ সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে প্রধান আসামি হিটু শেখের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি। একইসঙ্গে অন্যান্য আসামিদেরও আইনানুগ শাস্তির দাবি জানিয়েছি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও নিয়মমাফিক সাক্ষীদের জেরা করেছেন।
আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত নিহত আসিয়ার মা আয়েশা আক্তার বলেন, দ্রুত বিচার কার্যক্রমের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করছি। আশা করছি ১৭ মে আমরা ন্যায়বিচার পাব।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় শিশু আসিয়া। ৫ মার্চ রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করে। এরপর ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৮ মার্চ আসিয়ার মা ৪ জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
চার্জশিটে হিটু শেখকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসিয়ার বোনজামাই সজিব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
কেকে/এএম