দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোনো ঘোষণা ছাড়াই ক্যাবল টিভি সম্প্রচার বন্ধ রাখায় ফুসে উঠেছে স্থানীয় গ্রাহকরা। ডিস লাইনে ডিজিটাল সেটাপবক্স স্থাপনের বাতিল ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন স্থানীয় গ্রাহকরা। সেই সঙ্গে পুনরায় অ্যানালগ লাইন চালু করাসহ ডিস লাইনের মাসিক সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ৭০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (১২ মে) সকাল ১০টায় ফুলবাড়ী সচেতন নাগরিক ফোরামের ব্যানারে পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন তারা।  
ফুলবাড়ী সচেতন নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সচেতন নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব রাসেল পারভেজ, সংগঠনের মুখপাত্র মমতাজ আলী চৌধুরী, গ্রাহক মামুনুর রশিদ, সোহেল রানা, রুবি বেগমসহ অনেকে।

মানববন্ধনে তারা বলেন, স্থানীয় জারজিস আহম্মেদ দীর্ঘ ৩০ বৎসর ধরে ফুলবাড়ীবাসীকে ডিসলাইন ব্যবসার মাধ্যমে জিম্মি করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তিনি নিজের ইচ্ছামত গ্রাহকগণকে অবগত না করে ডিসের অ্যানালগ লাইন বন্ধ করেছেন। এ জন্য ফুলবাড়ীর প্রায় ১ লক্ষ মানুষ টিভি দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং অবাধ তথ্য প্রচারে বাধা প্রদান করেছেন। যা ভোক্তা অধিকার বহির্ভূত কাজ।

তারা আরো বলেন, তিনিসহ তার সঙ্গে জড়িত ডিস ব্যবসায়ীরা ফুলবাড়ী জনগণকে জিম্মি করে জোরপূর্বক ডিসলাইনে সংযোজনের জন্য সেটাপবক্সের মূল্য ২২০০-২৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। এছাড়া বিগত সময়েও অ্যানালগ লাইন সংযোগে ইচ্ছেমতো মাসিক ফি ১৫০-২০০ টাকা নির্ধারণ করে চাপিয়ে দেয়। যা নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিস ব্যবসায়ী জারজিস আহম্মেদের ডিস লাইনের পার্টনার ছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী মরহুম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল। তাই, ফুলবাড়ীর জনগণকে জিম্মি করে তাদের খেয়াল খুশিমতো জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেছে।

তারা বলেন, এলাকার জনগণের স্বার্থে দ্রুত অ্যানালগ ডিস লাইন চালু করাসহ সেটাপ বক্স বাতিল এবং ডিসের মাসিক চার্জ সর্বোচ্চ ৭০ (সত্তর) টাকা নির্ধারণে দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানলে সাধারণ গ্রাহকরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে এর দায়ভার তখন তাকেই নিতে হবে। মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রদান করেন।

কেকে/এএস