ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গভীর রাতে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় পাঁচ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার ভিডিও দেখে জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর থেকে বিশেষ অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় তিনটি দেশীয় ধারাল অস্ত্র।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— পটুয়াখালী জেলার ফজর আলীর ছেলে মো. কামাল ওরফে সিএনজি কামাল, একঁই জেলার খলিল সরদারের ছেলে ইসমাঈল সরদার ও শাহ আলম মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা এবং মাদারীপুর জেলার কাঞ্চন বেপারীর ছেলে রমজান বেপারী ও সারোয়ার হোসেনের ছেলে লিমন মাতিব্বত। তারা সকলেই ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
বুধবার (বিকালে) মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সভাকক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য জানান মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সামছুল আলম সরকার। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃকরা পেশাদার ডাকাত এবং ইতোপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তা ব্লক করে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ডাকাত চক্রের তৎপরতা ধরা পড়েছে গাড়ির ড্যাশ ক্যামেরায়। তবে গাড়ি চালকের দক্ষতায় অল্পের জন্য গাড়িয়ে সরিয়ে রক্ষা যায় যাত্রীরা। চাঞ্চল্যকর ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ড্যাশক্যামে ফুটেজে দেখাযায়, সংঙ্গবদ্ধ ডাকাত চক্রটি এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে গাছ-পালা ফেলে ব্লক করে রেখেছে। এ সময় রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে ডাকাতের কবলে পড়ে গাড়িসহ যাত্রীরা। আশপাশ থেকে প্রথম চারজন ও পরে আরো দুই ডাকাত বের হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তবে এ সময় ডাকাতের কবলে পড়া গাড়ির চাল পিছুটান দিয়ে চলে আসলে কোনোমতে রক্ষা হয়।
কেকে/এএম