শ্যামনগর সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় খটিতে কাঠ পুড়িয়ে শুকানো হচ্ছে কাঁচা চিংড়িমাছ। ক্ষতি করা হচ্ছে পরিবেশের, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলে, বছরের বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগে উপকূলে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। সরকারি বেসরকারি সংস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি করে থাকলে ও সচেতন হচ্ছে না বেশ কিছু অসাধু চিংড়ি শুঁটকি ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে নেই কোনো আইনগত ব্যবস্থা। শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন উপকূলীয় জনবসতি এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে চিংড়িমাছ শুকানোর খটি।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রকার মাছ শুকানোর খটি তৈরি করা সরকারিভাবে নিষেধ থাকলে ও সরকারি আইনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়ে গড়ে ওঠা এ মাছ শুকানো খটি মালিকদের ওপর নেই কোনো প্রকার আইনে বাধা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব। স্থানীয়রা বলেন এ সমস্ত খটিগুলোতে পোড়ানো হয় সুন্দরবন ও লোকালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে গোপাল মোড়, আটুলিয়া ইউনিয়নের মাইন্দ্র মাছের আড়ত সংলগ্ন অপর্ণ শুকনা চিংড়ি ফিস যাহার প্রোপাইটার অসিম কুমার এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে, কাঠ দ্বারা শুকানো চিংড়ি মাছের খটি। মাইন্দ্র এলাকার এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন খটিতে কাঠ পুড়ানোর কারণে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, তাছাড়া লোকালয়ের মধ্যে কাঠ দিয়ে কাঁচা মাছ শুকানোর কারণে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বিভিন্ন প্রকার কাঠ পুড়ানো হচ্ছে এ সমস্ত মাছ শুকনা খটিতে। কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকানো হচ্ছে এ বিষয়ে খটি মালিকদের কাছে জানতে চাইলে খটি মালিকগণ বলেন, কাঠ দিয়ে জ্বালানো ছাড়া আমাদের কোনোভাবেই এ মাছ শুকানো সম্ভব হয় না বিধায় কাঠ আমাদের পোড়াতেই হবে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মশিউর রহমান বলেন সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে আমি ব্যবস্থা নেব। এবং পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো মাছের খটি চালাতে দেওয়া যাবে না। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি খাতুন বলেন, কাঠ দিয়ে শুকানো হচ্ছে চিংড়িমাছ এ বিষয়টি আমরা আগেও এ খবর পেয়েছি তবে খুব দ্রুত এ খটিতে অভিযান চালানো হবে।
কেকে/এএস