প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪৯ পিএম

ছবি : প্রতিনিধি
‘চলো বাংলাদেশ, চলো চাটগাঁর উৎসবে’ চট্টগ্রামের ইতিহাস আর ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। আর এ মেলা জমে উঠে জব্বারের বলী খেলাকে ঘিরে। চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আব্দুল জব্বারের বলী খেলার ১১৬তম আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে । ১১৫ বছর আগে বনেদী ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার এই আয়োজন শুরু করেন। এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা থেকে আসা শরীফ বলী। অপরদিকে রানার আপ হয়েছে চট্টগ্রামের রাশেদ বলী। সাধারন বাউটে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও মেডেল দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানের নাম পাল্টে নতুন করে আব্দুল জব্বারের মাঠ নামকরন করা হয়।
এদিকে, প্রায় ১২ দফা থেমে থেমে সর্বশেষ বিচারকদের শেষ ১০ মিনিটের সিদ্ধান্তের মধ্যেই কুপোকাত হয়েছে রানার্স আপ রাশেদ বলী। প্রায় ৩২ মিনিট ধরে কৌশলের এই খেলা খেলেছে সেয়ানে সেয়ানে। শুক্রবারের আয়োজনে সাধারন ও চ্যালেঞ্জিং বাউটে ১২০ জন বলী অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে চ্যালেঞ্জিং বাউটে খেলেছে ৮জন। এই খেলাকে ঘিরে মেলার আয়োজনও চলবে আজ পর্যন্ত।
মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোনের অর্থায়নে ও ক্লাউড কমিউনিকেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত আব্দুল জব্বারের স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। কুস্তি শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন প্রধান অতিথি ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহদাত হোসেন।
গ্রাম বাংলা থেকেই বৈশাখী মেলার আয়োজন শুরু হলেও গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপসী সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য দিক ফুটিয়ে তুলতে চট্টগ্রামে সেই শতবর্ষ আগ থেকেই চলে আসছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের অবয়বে। মূলতঃ ১৯০৯ সালে সর্বপ্রথম এ মেলার আয়োজন করা হয় ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে। এ খেলাকে ঘিরে চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার থেকে তিনব্যাপী মেলার আয়োজন শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানের আশপাশ এলাকায়। দেশের অজপাড়া গাঁয়ে তৈরি হস্তশিল্পের বিশাল সমাহার এ মেলায়। ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা নিয়ে গত তিনদিন ধরে এ চত্বরকে ঘিরে নিজেদের অবস্থান ঠিক করে নিয়েছে।
মেলার আয়োজনকে ঘিরে গত বুধবার থেকে নগরীর নন্দনকানন থেকে শুরু করে কোতোয়ালী মোড় পর্যন্ত অনেকটা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে রাস্তার দুধার। অতীতের ইতিহাস অনুযায়ী, লালদীঘি মাঠেই জব্বারের বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বালি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মাটি থেকে প্রায় ৪/৫ফুট উঁচু মঞ্চ। এতেই লড়েছে দেশের বরেণ্য অঞ্চল থেকে ছুটে আসা বলীরা। সাধারণ বাউট ও চ্যাম্পিয়ন বাউটে ১২০ জন বলী রেজিস্ট্রেশন করলেও মাত্র ৭৫ জন বলী অংশ নিয়েছে।
কেকে/ এমএস