ঢাকার ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের ধাইরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গাজী খালী নদীর গতিপথ বন্ধ করে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে।
নদীর গতিপথ বন্ধ করার ফলে ব্যাহত হচ্ছে পানির প্রবাহ ও কৃষিজমির সেচ কাজ। ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে ওই ক্ষমতাধর প্রভাবশালী মহলটি। এতে করে হুমকিতে পড়েছ ধাইরা, চাউনা আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদীতে বাধ নির্মাণ করে মাটির লিক চলছে। সন্ধ্যার শুরুতেই ভেকু চালু হয় এবং ড্রাম ট্রাক ভরে মাটি যায় পাশের কয়েকটি ভাটায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নান্নার ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন ও ছানোয়ার, নজরুল, সাইফুল গংরা মিলে গত কয়েকদিন ধরে নদীতে বাধ নির্মাণ করে নদীর অপরপাশের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। মোশারফের নেতৃত্বে গতবছরেও মাটির লিক চলেছে।
স্থানীয়রা জানান, মাটি কাটার কাজ চলে সারারাত ধরে। যারা মাটি কাটে তারা প্রভাবশালী তাদের বিরুদ্ধে আমরা কিছু বলতে পারি না। প্রশাসনকে কীভাবে জানাবো, তারা জানতে পারলে আমাদের ক্ষতি করবে। তাদের এভাবে কৃষিজমির মাটি লুটের কারণে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ধুলোবালিতে বাড়িঘরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনীক জানান, বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানলাম আমরা অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিব। কৃষি জমি রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সজাগ রয়েছেন। ইতঃপূর্বে আমরা অসংখ্য ভেকুজব্দসহ মাটি কাটা বন্ধ করেছি।
কেকে/এআর