সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ!
মাসুম বিল্লাহ শালিখা (মাগুরা)
প্রকাশ: রোববার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০০ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালী বাজার থেকে তিন কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে ছান্দড়া গ্রামের জমিদার বাড়ির। শত শত বছর ধরে এখনো টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ।

জানা গেছে, মুঘল আমলের প্রথমার্ধে বাড়িটি তৈরি করেন জমিদার অলঙ্গন মোহন দেব রায়। এই অঞ্চলের মধ্যে ছান্দড়ার জমিদার অত্যন্ত প্রতাপশালী ছিলেন। এ বাড়ি থেকে এলাকার কর খাজনা আদায় ও শাসনকাজ পরিচালনা করা হতো। এ সবই আজ অতীত ইতিহাস। কালের পরিক্রমায় সবকিছু হয়ে গেছে অতীত।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভেঙ্গে পড়ছে জমিদার বাড়ি, ইট খসে পড়ছে। জানালা দরজা হয়ে গেছে উধাও। জমিদারের জমিদারী না থাকলেও টিকে আছে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। এছাড়াও টিকে আছে জমিদার বাড়ির শান বাঁধানো পুকুর ঘাট, কালি মন্দির ও শতবর্ষী আম গাছ। জমিদারের ব্যবহৃত হাতিশালা ও পুকুর ভরা ঘ্যঙ্গর ব্যাঙ কোনো কিছুই নেই।

এছাড়াও এই জমিদারের বাড়ির পাশে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও জি বাংলা টেলিভিশনের দাদাগিরি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক যাকে কলকাতার রাজপুত্র বলা হয়, সেই সৌরভ গাঙ্গুলির পুর্বপুরুষের বাড়ি ছিল বলে জানান অনেকে। জমিদার বাড়ির পাশে ছিল গাঙ্গুলিদের বাড়ি। তবে এ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। অস্তিত্বের কিছু না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে আছে এই জমিদার বাড়ি ও পাশের সেই বেগবতী নদী।

ছান্দড়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি স্বপন মুখার্জির সাথে কথা বললে তিনি জানান, অলঙ্গন মোহন দেব রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন। এই বাড়ি থেকে এলাকার কর খাজনা আদায় ও শাসনকার্য পরিচালনা করা হতো। কালের সাক্ষী হয়ে এখন শুধু টিকে আছে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। জমিদার বাড়ির পাশেই গাঙ্গুলিয়াদের বাড়ি ছিল। পরবর্তী সময়ে তারা কলকাতায় চলে যায়।

ছান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, জমিদার বাড়িটি মূলত শত শত বছরের ইতিহাসের সাক্ষী। তাই এই পুরাকীর্তিটিকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য এটিকে সংরক্ষণ পূর্বক এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র করা যেতে পারে। এতে করে এটি হতে পারে শালিখা উপজেলায় আগত বিভিন্ন ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

হোক ধ্বংসাবশেষ তবুও প্রতিদিন ভ্রম পিপাসুরা জমিদার বাড়িটি দেখতে আসেন। বাড়িটির অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারলে এটি এলাকার পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। উপযুক্ত সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়া হলে ঐতিহাসিক নিদর্শনটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে সিমাখালি বাজারে একটি দিকনির্দেশক পিলার বসানো হয়। যে পিলারটি জমিদার বাড়ির অবস্থান প্রদর্শণ করে। তবে স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য এখানে ভৌতিক অবকাঠামোগত কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি।

কেকে/এএম
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা
মৌলভীবাজারে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close