বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫,
৬ ভাদ্র ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: ইতা‌লির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ঢাকা সফর বাতিল      সাগর-রুনির পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হলো রাজউকের প্লট      মহানবী (সা.) এর সিরাতই তরুণদের চরিত্র গঠনের রোল মডেল: ধর্ম উপদেষ্টা       নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য জরুরি      ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু      ‘আমি সিক্স পার্সেন্টে কাজ করেছি’, উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির অডিও ফাঁস      আবারো সংঘর্ষে ঢাকা-সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা      
দেশজুড়ে
কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ!
মাসুম বিল্লাহ শালিখা (মাগুরা)
প্রকাশ: রোববার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০০ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালী বাজার থেকে তিন কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে ছান্দড়া গ্রামের জমিদার বাড়ির। শত শত বছর ধরে এখনো টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ।

জানা গেছে, মুঘল আমলের প্রথমার্ধে বাড়িটি তৈরি করেন জমিদার অলঙ্গন মোহন দেব রায়। এই অঞ্চলের মধ্যে ছান্দড়ার জমিদার অত্যন্ত প্রতাপশালী ছিলেন। এ বাড়ি থেকে এলাকার কর খাজনা আদায় ও শাসনকাজ পরিচালনা করা হতো। এ সবই আজ অতীত ইতিহাস। কালের পরিক্রমায় সবকিছু হয়ে গেছে অতীত।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভেঙ্গে পড়ছে জমিদার বাড়ি, ইট খসে পড়ছে। জানালা দরজা হয়ে গেছে উধাও। জমিদারের জমিদারী না থাকলেও টিকে আছে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। এছাড়াও টিকে আছে জমিদার বাড়ির শান বাঁধানো পুকুর ঘাট, কালি মন্দির ও শতবর্ষী আম গাছ। জমিদারের ব্যবহৃত হাতিশালা ও পুকুর ভরা ঘ্যঙ্গর ব্যাঙ কোনো কিছুই নেই।

এছাড়াও এই জমিদারের বাড়ির পাশে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও জি বাংলা টেলিভিশনের দাদাগিরি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক যাকে কলকাতার রাজপুত্র বলা হয়, সেই সৌরভ গাঙ্গুলির পুর্বপুরুষের বাড়ি ছিল বলে জানান অনেকে। জমিদার বাড়ির পাশে ছিল গাঙ্গুলিদের বাড়ি। তবে এ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। অস্তিত্বের কিছু না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে আছে এই জমিদার বাড়ি ও পাশের সেই বেগবতী নদী।

ছান্দড়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি স্বপন মুখার্জির সাথে কথা বললে তিনি জানান, অলঙ্গন মোহন দেব রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন। এই বাড়ি থেকে এলাকার কর খাজনা আদায় ও শাসনকার্য পরিচালনা করা হতো। কালের সাক্ষী হয়ে এখন শুধু টিকে আছে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। জমিদার বাড়ির পাশেই গাঙ্গুলিয়াদের বাড়ি ছিল। পরবর্তী সময়ে তারা কলকাতায় চলে যায়।

ছান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, জমিদার বাড়িটি মূলত শত শত বছরের ইতিহাসের সাক্ষী। তাই এই পুরাকীর্তিটিকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য এটিকে সংরক্ষণ পূর্বক এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র করা যেতে পারে। এতে করে এটি হতে পারে শালিখা উপজেলায় আগত বিভিন্ন ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

হোক ধ্বংসাবশেষ তবুও প্রতিদিন ভ্রম পিপাসুরা জমিদার বাড়িটি দেখতে আসেন। বাড়িটির অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারলে এটি এলাকার পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। উপযুক্ত সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়া হলে ঐতিহাসিক নিদর্শনটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে সিমাখালি বাজারে একটি দিকনির্দেশক পিলার বসানো হয়। যে পিলারটি জমিদার বাড়ির অবস্থান প্রদর্শণ করে। তবে স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য এখানে ভৌতিক অবকাঠামোগত কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি।

কেকে/এএম
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
জাকসু নির্বাচনে শিবিরের নেতৃত্বে প্যানেল ঘোষণা
ইতা‌লির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ঢাকা সফর বাতিল
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বিদ্যুতের তার যেন চড়ুই পাখির অভয়াশ্রম

সর্বাধিক পঠিত

মদনে স্ত্রীর নির্যাতন মামলায় সাবেক কমিশনার গ্রেফতার
জয়পুরহাটে বজ্রপাতে আলু ব্যবসায়ীর মৃত্যু
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কৃষি সংস্কার ও খাদ্য নিরাপত্তার অভিযাত্রা
‘আমি সিক্স পার্সেন্টে কাজ করেছি’, উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির অডিও ফাঁস
জামালপুরে পূবালী ব্যাংকের সহযোগিতায় আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close