চলনবিল অধুষ্যিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিনাহালে রসুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চলনবিলে বর্ষার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকেরা কাদামাটিতে রসুন লাগাতে শুরু করেন। রসুন লাগানোতে দিন মজুরদের পাশাপাশি কৃষক পরিবারের সদস্যরা কাজ করেন সমানতালে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৪৭৫ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারমধ্যে বিনাচাষে ৪৪০ হেক্টর জমিতে ও চাষ করে ৩৫ হেক্টর জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে।
এদিকে কৃষকরা বলছেন, গত মৌসুমে রসুনের ভালো ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমে বীজ ও উপকরণের দাম বিগত বছর গুলোর তুলনায় বেড়েছে কয়েকগুন। ফলে চলতি মৌসুমে রসুন চাষে প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ফসলি মাঠ ঘুরে দেখা যায়, রসুন চাষ ঘিরে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে কৃষক পরিবারগুলো।
জানা যায়, চলনবিল অঞ্চলে বিগত দুই দশক ধরে বিনাচাষে রসুনের আবাদ করে কৃষকেরা অধিক লাভবান হওয়ায় চলনবিলের তাড়াশ, গুরুদাসপুর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, চাটমোহরসহ আরো অনেক উপজেলায় বর্তমানে এই পদ্ধতিতে রসুন চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া রসুন চাষের পদ্ধতি হলো আমন কাটার এক দুই দিনের মধ্যে ধানের খড় (লারা) তুলে জমি প্রস্তত করতে হয়। এরপর প্রয়োজনীয় সার-কীটনাশক দিয়ে কাঁদার ওপরে রসুনের একটি করে কোয়া রোপন করতে হয়। রোপণকৃত রসুনের ক্ষেত ধানের খড় বা কচুরী পানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়, ঢেকে দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যই রসুনের চারা গজায়।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে ৩০-৪০ মণ হারে রসুন উৎপাদন হয়। খরচ বাদ দিয়েও অনেক লাভবান হন কৃষকরা।
কেকে/ এমএস