বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ দেয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা      ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরও সাত, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৭      ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প      দুদকের সব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে      প্রাথমিক শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি      নির্বাচনী জোটের আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে : রাশেদ খান      গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমান      
খেত খামার
গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম মিষ্টি কুমড়ার চাষ
নির্মল রায়, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
প্রকাশ: রোববার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৩২ পিএম
তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম মিষ্টি কুমড়ার চাষ। ছবি : প্রতিনিধি

তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম মিষ্টি কুমড়ার চাষ। ছবি : প্রতিনিধি

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরাঞ্চলে ব্যাপক মিষ্টি কুমরার চাষ হয়েছে। অধিক লাভের আশায় অধিকাংশ কৃষক এবছর আগাম মিষ্টি কুমরার বীজ রোপন করেছেন। বীজ থেকে ভালো চারা গজিয়ে বেড়ে উঠায় কৃষকের মুখে ফুটেছে সুখের হাসি।

বন্যা আর ভাঙনে সম্পদহারা চরাঞ্চলের মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে জেগে উঠা বালু চরেই ফসল বুনেন। ধু ধু বালুতে ফসল ফলানো বেশ কষ্টসাধ্য। পেটে দু'মুঠো ভাত জোগাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বালু চরে ফসলের চাষাবাদ করেন নদীপাড়ের মানুষ। তবে চরাঞ্চলের জমিতে শাকসবজি, ভুট্টা, বাদাম, মিষ্টি কুমড়ার কদর বেশি। চরাঞ্চলের বালুতে মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়।

উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী জানান, বর্ষাকালে তিস্তা নদীতে খরস্রোত থাকলেও হেমন্তেই তিস্তার বুকে জেগে উঠে অসংখ্য বালু চর। বর্ষায় নদীর দু'কুল উপচিয়ে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। একই সাথে ভাঙনের মুখে পড়ে বিলিন হয় ফসলি জমি বসতভিটাসহ স্থাপনা। বর্ষার বিদায় বেলায় ধুধু বালু চরে পরিনত হয় তিস্তা নদী। 

গজঘণ্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাকের চাষি নজরুল ইসলাম জানান, বালু চরে গর্ত করে বালু সড়িয়ে নিয়ে গর্তে বাহির থেকে আনা পলিমাটিতে গর্ত পুরন করা হয় । প্রতিটি গর্তে জৈবসার দিয়ে মিশ্রন করে তবে গর্ত প্রতি ৩/৪টি করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করতে হয়। এরপর চারা গাছ বড় হলে পানি সেচ আর একটু পরিচর্যা করলে ফুল ফল আসতে শুরু করে। বালু চরে গাছ বিচরন করে তাই খরচ করে মাচাং দিতে হয় না। প্রতিটি গাছে প্রায় ৮/১০ টি করে কুমড়া আসে। প্রতিটি কুমড়া ৩/৪ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। প্রতি কুমড়া ক্ষেতেই ৪০/৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

কৃষক রাজা মিয়া (৪৮) বলেন, কম খরচে অধিক লাভ করতে চরাঞ্চলের বালু জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বিকল্প নেই। কুমরা চাষে সরকার যে প্রণোদনা দেয় তা খুবই অপ্রতুল। তারা কুমড়া চাষে প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি জানান।

গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলের কৃষকদের কুমড়া চাষে  বীজ, রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

কেকে/ এমএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ দেয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
গাজীপুরে রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও অবকাঠামো সংকট, চরমে দুর্ভোগে বিয়ানীবাজারবাসী
আবুল সরকারকে মুক্তি দিলে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা মাদানীর

সর্বাধিক পঠিত

নাটোর-১ আসনে এবি পার্টির প্রার্থীর বিলবোর্ড ভাঙচুরের অভিযোগ
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প
পাটগ্রাম উপজেলায় সীমান্ত সুরক্ষা জোরদারে 'চতুরবাড়ী বিওপি'র যাত্রা
থাইল্যান্ডে যাচ্ছে তরুণ উদ্ভাবক দল সায়েন্স অ্যান্ড রোবটিকস ক্লাব
ইয়ুথ ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটিকে ব্যারিস্টার খোকনের বরণ

খেত খামার- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close