সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা এলাকায় এ বছর সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে ঝুলছে সুপারি। ফলন ভালো হওয়ায় মৌসুমের শুরুতে হাসি ফুটেছিল কৃষকে মুখে। তবে বাজারে এসে সেই হাসি দ্রুতই বিলীন হয়ে গেছে দাম কমে যাওয়ায়।
কৃষকরা জানায়, গত বছর যেখানে প্রতি কুড়ি সুপারি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার সেখানে দাম নেমে এসেছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। অনেক ক্ষেত্রে আরো কম দামে বেচতে হচ্ছে। বড় মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারগুলোর দামও পড়ে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
পাটকেলঘাটার সরুলিয়া, খলিশখালি ও কুমিরা বাজারে প্রতিদিন ভোর থেকেই বসছে বড় সুপারির হাট। দূরদূরান্তের ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর হয়ে ওঠে বাজার। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে চাষিরা ঝুড়ি, বস্তা ও ভ্যানে করে সুপারি নিয়ে আসেন। চলে দরদাম। ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন এসব বাজারে লাখ টাকার সুপারি কেনা-বেচা হয়। এখানকার সুপারি ঢাকা চট্রগ্রামে খুলনা-যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।
কুমিরা ইউনিয়নের মুজিবর রহমান জানান, খলিশখালির গাজী আব্দুস সাত্তার ও সরুলিয়ার সরদার কুতুবুদ্দিন বলেন, ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
স্থানীয় চা ব্যবসায়ী আখতারুজ্জামান বলেন, দাম এখন কম, তাই কিছু সুপারি কিনে গুদামজাত করে রেখেছি বছরের জন্য।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা খাতুন জানান, উপজেলায় এ বছর প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। সুপারি চাষের জন্য এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতা অনুকূল। তবে চাষিরা গাছের পরিচর্যায় আধুনিক পদ্ধতিতে খুব একটা দক্ষ নন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, “ফার্স্ট ফিডসহ সঠিক পরিচর্যার ব্যবহার জানলে ফলন আরো বাড়বে। চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
ফলন ভালো হলেও বাজারদর কমে যাওয়ায় লাভের আশা কমে গেছে। তাই নতুন মৌসুমে সুপারি চাষ নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন অনেক চাষি।
কেকে/এআর