চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীর মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদার অনুসারীও তৃণমূল বিএনপি উদ্যোগে রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিকেল ৪টায় উপজেলার ঠাকুরচর চৌরাস্তা থেকে বিশাল গণমিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়ে ছেংগারচর বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে পরিণত হয়। মিছিলে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীও সাধারণ জনগণ ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করেন।
মনোনয়ন পরিবর্তনের জন্য বিক্ষোভকারী সাধারণ জনগণও নেতাকর্মীরা রিভিউ কার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার মজুমদার, মতলব দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন মৃর্ধা, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন হিরো, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল ফরাজী, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন খানসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার মজুমদার বলেন, চাঁদপুর-২ আসনের প্রাথমিক মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। এ আসনের যোগ্য প্রার্থী তানভীর হুদাকে মনোনয়ন না দেওয়া হলে দল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাঠের মানুষের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন ঘটিয়ে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
মতলব দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন মৃর্ধা বলেন, তানভীর হুদা দীর্ঘদিন ধরে মতলবের রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, মামলার আসামি হয়ে কারাবরণ করেছেন। তার ত্যাগ সমর্থন উপেক্ষা করে মনোনয়ন দিলে তৃণমূল কখনোই তা মেনে নেবে না।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সময়ে মতলবের বিএনপি সংগঠিত ও সুসংহত। এই কাঠামোকে সামনে রেখে সঠিক নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত হবে। তানভীর হুদাকে মনোনয়ন দিলে বিএনপি চাঁদপুর-২ আসনে জয়ী হবে বলেও তারা দাবি করেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, চাঁদপুর-২ আসনের বাস্তব রাজনীতি, তৃণমূলের চাওয়া এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগ-সংগ্রামের মূল্যায়ন করতে হবে। তানভীর হুদাই এই আসনের জনপ্রিয়ও গ্রহণযোগ্য নেতা। তাঁর মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে উপেক্ষা করা মানে তৃণমূলের মনোভাবকে অগ্রাহ্য করা। আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জোর দাবি জানাই এই আসনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা হোক এবং তানভীর হুদাকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হোক। এতে শুধু বিএনপি সংগঠিত হবে না, ধানের শীষের বিজয়ও নিশ্চিত হবে। চাঁদপুর ২ আসন বিএনপির ঘাটি। এ আসনে ব্যক্তি ইমেজ কাজে লাগিয়ে ৪বার সংসদ সদস্য হয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদার বাবা সাবেক তথ্য সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী মরহুম নুরুল হুদা।
গণমিছিলকে ঘিরে ছেংগারচর বাজার এলাকায় বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণও নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ গোলাম রাব্বানী মামুন, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম মিয়াজী, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমু, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন মজুমদার, মতলব পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ গিয়াস, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম মোল্লা, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল ফরাজী, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন, পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা,
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মানিক ফরাজী, গজরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের সুমন, বিএনপি নেতা হান্নান লস্কর, নুরুল হুদা সরকার বাপ্পী, ইব্রাহিম সরকার, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন বেপারী, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিদয় মিয়াজী, মতলব পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সাইদুর রহমান শিপলু, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ ফরাজী, সারোয়ার ফরাজী,গজরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কেকে/ এমএস