দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন নৌ-পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দরের কারগো ভেহিকেল টার্মিনালে এসে বন্দরটির সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি এবং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি পূর্বের পরিদর্শনে যে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছিলেন, সেগুলো খতিয়ে দেখেন। বিশেষত, স্ক্যানার মেরামত এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নতি বিষয়েও তিনি পর্যালোচনা করেন।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, গতবার বন্দর পরিদর্শনকালে কিছু সমস্যা ছিল, তবে আজকের পরিদর্শনে দেখে আমি সন্তুষ্ট।
ড. সাখাওয়াত আরও বলেন, বন্দরের কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে, এবং বাণিজ্যও অব্যাহত রয়েছে। তিনি বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পরিদর্শন শেষে, তিনি শহিদ আব্দুলারের পরিবারের খোঁজখবর নিতে তার বাড়িতে যান। এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের আশপাশে পৃথক দুটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসব মানববন্ধনে বন্দর ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আমদানি-রপ্তানিকারকরা এবং স্থানীয় জনগণ অংশ নেন।
এ সময় বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, বেনাপোল কাস্টমসের এডিশনাল কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান, শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাসেল মিয়া, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঁইয়া সহ আরও অনেক কর্মকর্তা।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং উন্নতির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশংসা করেন এবং বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এখানে কাজের অগ্রগতি ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে।
এছাড়া, তিনি বলেন, এই ধরনের কার্যক্রম আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এভাবে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের উন্নতির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কেকে/এএম