ক্যানসার আক্রান্ত জসিম উদ্দিনের (৪০) বাঁচার আর্তনাদ যেন আকাশ ভেঙে পড়ার মত। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে কোন রকম সংসার চালিয়ে জীবন নির্বাহ করছেন তিনি। এরই মাঝে গত ৭-৮ মাস ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন। স্থানীয় অনেক ডাক্তার দেখানোর পরও কোন প্রতিকার না মিলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর পর ধরা পড়ে জসিম উদ্দিনের মরণব্যাধি ক্যানসার।
ক্যানসার হয়েছে- এই কথা শুনেই যেন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।
জসিম উদ্দিন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পালগিরি গ্রামের গনু স্বর্ণকার বাড়ির আবুল খায়েরের ছেলে।
জসিম উদ্দিনে সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট থাকতে জসিমের বাবা-মা মারা যায়। সে ছোট থেকে কষ্ট যেন পিছু ছাড়ছে না। কর্মজীবনে অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাচ্ছে। বিয়ে করলো মাত্র তিন বছর। এক বছরের একটা ছেলে সন্তান তাদের। বেশ কিছু দিন ধরে জসিম অসুস্থ। স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ওষুধ এনে কোন রকম চলছিল। অবস্থার অবনতি দেখে পরবর্তী ফেনী গিয়ে ডাক্তার দেখায়। এতেও কোন পরিবর্তন না দেখে চমেক হাসপাতালে নিলে পরীক্ষায় ক্যানসার ধরা পড়ে।
স্থানীয় কিছু লোকের সহযোগিতায় কিছু দিন চিকিৎসা চললেও এখন অর্থের অভাবে আর চিকিৎসা চলে না। আর্তনাদ করে দেশবাসীসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জসিম বলেন, ‘আমার এ মাসুম বাচ্চার দিকে তাকিয়ে হলেও আমাকে চিকিৎসা করে বাঁচার সুযোগ করে দিন। আমি যেন সুস্থ হয়ে আমার বাঁচ্চার মুখের আহার যোগাড় করতে পারি। আমার চিকিৎসার জন্য আমি দেশের বিত্তবান ও সমাজের সব সহৃদয়বান ব্যক্তির সহায়তা চাচ্ছি। আমি সকলের সহায়তায় বাঁচতে চাই।’
জসিম উদ্দিনের স্ত্রী বলেন, ‘আমার সর্বস্ব অর্থ-সম্পদ গত ৬ মাসে তার পিছনে ব্যয় করেছি। আমার কোলে এক বছরের মাসুম বাচ্চা। আমি কি করে এ বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দিবো! কিভাবে তার চিকিৎসা বা ঔষধ চালাই! প্রতিটি মূহুর্ত যেন আমার ভারি হয়ে আসতেছে। আমার বাচ্চার দিকে তাকিয়ে হলেও আমার স্বামীকে আপনারা বাঁচান। তিনি বর্তমানে চমেকর হাসপাতালে ডাক্তার ফজলে রব্বীর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।’
রিকশা চালক মাহাবুব হোসেনের সহায়তার জন্য তার ব্যক্তিগত কোন ফোন না থাকায় তার ভাতিজা সাইফুল ইসলা মাসুদের সাথে যোগাযোগ করেতে পারেন- এই নাম্বারে ০১৮৭০০৮৫৪০৪।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিগ্যান চাকমা বলেন, ‘ক্যানসার আক্রান্ত জসিম উদ্দিন নিজে অথবা তার পরিবারের সদস্য কাগজপত্র নিয়ে সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা তার জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সব কাগজপত্র দেখে তাকে ক্যানসারের এককালীন অনুদান দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’
কেকে/এমএ