ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গণি শাহ মাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় গুলাগুলির ঘটনায় পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ অভিযানে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক জানান, মামলার এজাহারভূক্ত দুজনসহ মোট তিনজনকে পুলিশ ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিশেষ অভিযানে বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বাক্তিরা হলেন—বড়িকান্দি গ্রামের আতিকুর রহমান হৃদয়(২৮), নুরজাহানপুর গ্রামের সাইমন (২০), থোল্লাকান্দি গ্রামের মো.বাবলু মিয়া (২০)।
উল্লেখ্য গত (১ নভেম্বর) থোল্লাকান্দি গ্রামের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন রেস্তোরায় গুলাগুলির ঘটনায় নুরজাহানপুর গ্রামের আব্দুল মোন্নাফ ওরফে মনেকের ছেলে শিপন মিয়া, হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিন ও নুরে আলম গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় মনেক ও তার দল থোল্লাকান্দি তালতলা মোড়ে এমরান হোসেনের বাড়িঘর ও অফিসে হামলা চালায় ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন এবং পরদিন হোটেল কর্মচারী আলমনগর গ্রামের মো. ইয়াছিন মারা যায়।
এ ঘটনার পাঁচ দিন পর নবীনগর থানায় মনেক মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও থোল্লাকান্দি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে হাসিবুর রহমান বাদী হয়ে দুটি মামলা করে।
এ বিষয়ে র্যাব-৯ সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নুরনবী বলেন, পাল্টাপাল্টি এ হামলার ঘটনায় নবীনগর থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়। ইতোমধ্যে একটি মামলায় (হত্যা) গত ১০ নভেম্বর র্যাবের বিশেষ অভিযানে অস্ত্রসহ দুজনকে এবং পরে পুলিশ আরো দুজনসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনূর ইসলাম বলেন, ‘জোড়া খুনের ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। হত্যা মামলায় চারজনের পর বুধবার রাতে আরো তিনজনসহ মোট সাতজন গ্রেফতার হলেন। গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
কেকে/লআ