নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহাগ হোসাইন বাবুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জলঢাকা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা শাখার সভাপতি তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার নিম্ন পদধারী সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে দিয়ে এককভাবে ইউনিয়ন কমিটি গঠনসহ দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে সংগঠনে ‘বিভক্ত সৃষ্টির’ অভিযোগ তুলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে জলঢাকা পৌরসভার ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন পুরাতন গরুহাটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণঅধিকার পরিষদের জলঢাকা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি সোহেল রানা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতা সোহাগ হোসাইন বাবু (ট্রাক প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী) এবং নীলফামারী জেলা সভাপতি ও দপ্তর সম্পাদক জলঢাকা উপজেলা কমিটির সভাপতি তাইজুল ইসলামকে কোনো কিছু না জানিয়ে ইউনিয়ন কমিটিসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আমাদের মধ্যে বিভক্ত সৃষ্টি করে দিয়েছেন।’
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘সাংগঠনিক প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে এবং অধিকাংশ নেতাকর্মীকে অন্ধকারে রেখে কার্যক্রম পরিচালনার কারণে সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা তাকে (সোহাগ হোসাইন বাবুকে) অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে নির্বাচনী সকল কার্যক্রম থেকে সবাই অব্যাহতি নিচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি বাবলু হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরনবী ইসলাম ও পৌর যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি কামারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, তার স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন এবং কর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পৌর শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং দলীয় ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
ত্যাগী নেতাকর্মীদের অমূল্যায়ন করায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি এবং তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণার ফলে নীলফামারী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনী কার্যক্রমে বড় ধরনের ভাটা পড়তে পারে বলে জানান তারা।
কেকে/এমএ