রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ইছহাক হালদারের জালে ধরা পড়েছে ২৪ কেজির এক কাতল মাছ, যা বিক্রি হয়েছে ৬৬ হাজার টাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে দৌলতদিয়ার আনু খাঁর আড়ত থেকে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে মাছটি কিনে নেন দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।
জানা গেছে, ভোরে জেলে ইছহাক হালদার তার সহযোগীদের নিয়ে দৌলতদিয়া তালতলা এলাকার পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন। রাত ৩টার দিকে জালে ধাক্কা লাগলে জাল তুলে দেখতে পান বিশাল আকৃতির একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। সকালে বিক্রির জন্য মাছটি দৌলতদিয়া মাছ বাজারের আনু খাঁর আড়তে এনে ওজন দিয়ে দেখা যায় এর ওজন ২৪ কেজি। ওই আড়ত থেকে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে প্রতি কেজি ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে, মোট ৬৪ হাজার ৮০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।
চাঁদনী অ্যান্ড আরিফা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, “পদ্মা নদীর বড় কাতল মাছের চাহিদা রয়েছে। এজন্য বেশি দাম দিয়ে মাছটি কিনে মোবাইলে যোগাযোগ করে ঢাকার গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে ২ হাজার ৭৫০ টাকা কেজি দরে ৬৬ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছি। ক্রেতার ঠিকানায় বিশেষ ব্যবস্থায় মাছটি পাঠিয়েও দিয়েছি।”
স্থানীয় জেলে ও মাছ বিক্রেতা ইছহাক হালদার বলেন, “বুধবার রাত ১টার দিকে নদীতে জাল ফেলে বসে থাকি। দুই ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে জালে জোরে একটা ধাক্কা দিলে বুঝতে পারি বড় কোন মাছ ধরা পড়েছে। পরে জাল তুলে দেখি বিশাল একটি কাতল মাছ। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ঘাটের মাছ বাজারের আড়তে নিয়ে গেলে সেখানে নিলামের মাধ্যমে দৌলতদিয়ার মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা ২ হাজার ৬৫০ টাকা দরে মাছটি কিনে নেন।”
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, “ইলিশ ধরায় মৌসুমি নিষেধাজ্ঞা থাকায় পদ্মার অন্যান্য বড় মাছ বেড়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে এখন বড় আকারের পাঙ্গাস, রুই, কাতল, বোয়াল ও বাগাড় মাছ ধরা পড়ছে। নদীতে যদি স্থায়ী অভয়াশ্রম গড়ে তোলা যায়, ভবিষ্যতে এমন বড় মাছ আরও বেশি পাওয়া যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “বড় আকারের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকাওয়ালা ঘাইলা বেড় জালে ধরা পড়ে।”
কেকে/ আরআই