ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুরের বামরাইল বাজারে খালের ওপর নির্মিত সেতুটিতে ফাটল ধরেছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে। বরিশাল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সেতুটি সচল রাখতে নিচে বালুভর্তি বস্তা ও লোহার পাত বসিয়ে সাময়িক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বামরাইল খালের ওপর নির্মিত সেতুটির আবস্থা নাজুক। এ সেতু দিয়ে ৮ টনের বেশি মালামাল বহন করা নিষিদ্ধ। কিন্তু তা না মেনে সেতুটি দিয়ে অহরহ ২৫-৩০ টনের পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচল করছে।
ফলে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এই সড়কে চলাচলকারী একাধিক ট্রাকচালক জানান, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, দ্রুত বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করলে দুর্ঘটনার কবল থেকে তারা রক্ষা পাবেন।
বাসচালক ফরিদ হোসেন বলেন, `ভারী ট্রাক নিয়ে যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'
বামরাইল বাজার কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাঢ়ী বলেন, ‘ব্রিজটির নিচের বিভিন্ন আংশে প্লাস্টার ও ঢালাই খসে পড়েছে। আমরা দেখে সওজকে জানালে তারা কোনোমতে নিচে বালুর বস্তা দিয়ে ব্রিজটি সচল রেখেছে।’
ট্রাকচালক আলম ফকির বলেন, ‘ব্রিজটির ওপর উঠলে ধপধপ শব্দ হতো। পুরাতন ব্রিজ, আমরা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। ব্রিজের ওপর গাড়ি উঠলেই মনে হয় যে কোনো সময় ধসে নিচে পড়ে যাব।’
অটোরিকশাচালক শিকারপুর এলাকার ফজর আলী মৃধা বলেন, ‘বামরাইল ব্রিজটির ওপর দিয়ে অহরহ ভারী যানবাহন চলছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছি আমরা।’
সাবেক ওয়ার্ড সদস্য জিয়া আমিন বলেন, ‘বামরাইল সেতুটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, বালুর বস্তা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে সেতুটি সচল রাখা হয়েছে। সড়ক বিভাগ দ্রুত বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী সুজা বলেন, ‘অনেক পুরনো হওয়ায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখানে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের কাছে সুপারিশ করব।’
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি বাস ও ট্রাক চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যান চলাচল সচল রাখতে দ্রুত এখানে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।’
কেকে/এমএ