নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আত্মসমর্পণকারী তিনজন হলেন- ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী, হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাসেল রানা এবং ডোমার সদর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর রহমান। তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেগম খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি। সেদিন প্রচারণার কাজে যাওয়ার পথে জোড়াবাড়ি এলাকায় তার গাড়ি বহরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “জানতে পেরেছি তারা আদালতে জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন”
নীলফামারী জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, “অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর মামলায় ডোমার উপজেলার সোনারায় ও হরিণচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ডোমার ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য রোববার জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
কেকে/ আরআই