বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, “নোট ডিসেন্ট সহ বিএনপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন নোট ডিসেন্ট বাদ দিয়ে জাতির সাথে একটি নতুন খেলা খেলেছে। নোট অব ডিসেন্টসহ জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট চায় বিএনপি।”
শনিবার (৮ নভেম্বর) সিলেটে নগরীর একটি কনভেনশন হলে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সমাজে নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
সেলিমা রহমান বলেন, “বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল, গণভোট-পিআর নিয়ে কিছু মহল অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে নির্বাচনের আগে ছোটখাটো কিছু ঝামেলা হতে পারে, তবে নির্বাচন হবে, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এখন পর্যন্ত কোনো শঙ্কা দেখছে না।”
গুম কমিশনের কাজ আশানুরূপ কার্যকর হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যাদের পরিবার গুমের শিকার হয়েছে তারাই বলেছে, তারা গুম কমিশনের কাছে যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে কার্যকর কোনো কাজ গুম কমিশন করতে পারেনি।”
ঐক্যমত প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘যারা ঐক্যমতের নামে বসেছেন, তারা দেশের জনগণের প্রতিনিধি নন। সংবিধান ও গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদের জ্ঞান সীমিত। সরকারের উদ্দেশ্য এখানে আন্তরিক নয় বরং পুরো জাতির সঙ্গে খেলা করা হচ্ছে।’’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত ও আসন বণ্টন প্রসঙ্গে সেলিমা রহমান বলেন, “কিছু আসন এখনো খালি রয়েছে। সেগুলো চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি না।”
বিএনপির নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, মিফতাহ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সভাপতি আদুল কাইয়ুম চৌধুরী, এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল হক, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য নইমা খন্দকার।
অনুষ্ঠানে বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুসলিমা আক্তার চৌধুরী, সুফিয়া আক্তার হেলেন, খোদেজা রহিম কলি, স্বপ্না বেগম, সুফিয়া সোলেমান কলি, নাসিমা আক্তার খান, নুরুন্নাহার, মো. মদিনা আক্তার, হেলেনা চৌধুরী, মোছা. রেহানা বেগম, মনোয়ারা বেগম, দিবা রানী দে বাবলী, শাহেনা আক্তার, সৈয়দা লাভলি সুলতানা, নাদিরা বেগম প্রমুখ।
এ ছাড়া সভায় সিলেট জেলা ও মহানগর, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ আরআই