কুড়িগ্রামের রৌমারীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গ্যাস পাম্প লাইনের লিকেজ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা থানা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আহত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হলেন—ইউনুছ আলী, সাইফুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বয়েজ উদ্দিন এলপিজি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাম্প লাইন থেকে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ হলে আশপাশে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। গ্যাসের তীব্রতা থাকায় নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি তারা। পরে শনিবার সকালে ওই ফায়ার সার্ভিসের দলটি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ সময় গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়া ইউনুছ আলীসহ আহন হন ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্য। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
‘বয়েজ উদ্দিন এলপিজি গ্যাস পাম্প’-এর মালিক শহিদুল ইসলাম শালুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
রৌমারীর কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শাহাজাদা বলেন, “পাম্পের গ্যাস লাইনের লিকেজ থাকার কারনে আমরা পানি দিয়ে গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করি। এ সময় হঠাৎ গ্যাস উপরে উঠে আসে। এতে তিন সদস্য আহত হন।”
রৌমারী থানার ওসি সেলিম মালিক বলেন, “গ্যাস পাম্পটি চালু হওয়ার বিষয়টি অবগত করা হয়নি। এ ঘটনায় রাতেই এলাকাবাসীকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পাম্পের সকল কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কেকে/ আরআই