বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরও সাত, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৭      ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প      দুদকের সব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে      প্রাথমিক শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি      নির্বাচনী জোটের আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে : রাশেদ খান      গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমান      সিসিইউতে খালেদা জিয়া      
খোলাকাগজ স্পেশাল
আরপিও সংশোধন ইস্যুতে রাজনৈতিক উত্তেজনা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৩২ এএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অধ্যাদেশের খসড়ায় আবার পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সংশোধনে প্রার্থীদের নিজেদের দলের প্রতীকে ভোটে অংশ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দিচ্ছে। অর্থাৎ, নির্বাচনি জোটে থাকলেও প্রার্থী চাইলে অন্য দলের প্রতীকে বা নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন। ফলে আরপিও সংশোধনের ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

এর আগে ২৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের যে খসড়া অনুমোদন করেছিল, তাতে উল্লেখ ছিল- যে দলই হোক, জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রত্যেককে নিজ নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। এই নিয়ম নিয়ে আপত্তি তোলে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টাকে সরাসরি তাদের আপত্তির কথা জানায়। পরে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবেই তাদের আপত্তি তুলে ধরে।

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন প্রধান উপদেষ্টা। তার আগ্রহ এবং নির্দেশেই আবারও খসড়া অধ্যাদেশে সংশোধন আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পরিবর্তনের ফলে ছোট দলগুলো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে, কারণ জোটগত নির্বাচনে বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে তারা আসন বণ্টনে সুবিধা পাবে এবং পরিচিত প্রতীকের আওতায় ভোটারদের কাছে যেতে পারবে।

বিএনপি বলছে, জোটের ক্ষেত্রে প্রতীক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠে এগিয়ে রাখে। তাই জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতীক নির্ধারণ হওয়া উচিত। বৃহত্তর এ দলটি চায়, জোটে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রতীক বণ্টন সম্পূর্ণভাবে জোটের সম্মতিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত হোক, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক হয়।

এদিকে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর আরপিও সংশোধনের বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এমনটা জানিয়েছেন। 

আরপিও সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এর নীতিগত অনুমোদনের পর বাকি কাজটুকু করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ডিভিশন। তারা অধ্যাদেশ জারি করেন। কাজেই অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষায় আছি।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের এখান থেকে নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, আইন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অবস্থান জানার পরেই এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।

আরপিও সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকারের উপদেষ্টার ব্যক্তিগত প্রভাবের ফলে যদি আরপিও সংশোধন বাতিল হয়, তাহলে তা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রেক্ষিতে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস এবং তার পরে সরকারের অবস্থান নিয়ে এনসিপি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকার যদি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সর্বশেষ সংশোধনী বাতিল করে, তবে তা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে ন্যক্কারজনকভাবে ভঙ্গ করবে। এতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নির্বাচনি জোট গঠিত হলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হবে, এই বিধান অন্তর্ভুক্ত করে গত ২৩ অক্টোবর নির্বাচনসংক্রান্ত আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিএনপির একজন নেতার সঙ্গে সরকারের এক উপদেষ্টার তথাকথিত ‘জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট’-এর প্রেক্ষিতে ওই অনুমোদিত আদেশটি বাতিল হতে পারে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ যদি বাতিল করা হয়, তা হবে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অগণতান্ত্রিক এবং স্পষ্টতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই প্রক্রিয়া আসন্ন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়ে বড় প্রশ্ন তুলবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের মাত্র চার মাস আগে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতা ও সরকারের কোনো উপদেষ্টার যোগসাজশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গ হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই কারণে জাতীয় স্বার্থে এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বহাল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বিএনপিকে দেওয়া আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে রোববার এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা একটি চিঠি আইন উপদেষ্টাকে দিয়েছে দলটি। দলটির মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন। নির্বাচনি আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস প্রদান করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থি।’

চিঠিতে আখতার উল্লেখ করেন, ‘আইন সংশোধনের মতো সিদ্ধান্ত কোনো একক ব্যক্তির নয়। এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। অতএব সরকারের পক্ষে এমন কোনো আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া যা একটি নির্দিষ্ট দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তা আপনার প্রশাসনের প্রতি জন-আস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। একই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আপনি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের বিপরীতে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থি বলে আমরা মনে করি।’

তিনটি ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়-

প্রথমত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা ও নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত অব্যাহতি পায়। এতে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়। একদিকে দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করে, অন্যদিকে নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করে। এটি আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাকে অকার্যকর করে তোলে।

দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে জনগণ ভোট দেন, সেই দলই নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটার জানেন না তিনি আসলে কাকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটার যে রাজনৈতিক দর্শন, নীতি বা নেতৃত্বকে সমর্থন জানাতে চান, তা অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এর ফলে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।

তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়। পরে এই ছোট দলগুলো সংসদে বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত নিয়ে হাজির হয়ে বাস্তবে সেই বড় দলেরই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করে। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গঠনের প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণে আর্টিফিশিয়াল বহুমতের জন্ম হয়।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন- আবার সেই একই দলের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার আরপিও সংশোধন করে নির্বাচনি মাঠে তাদেরকে অস্বাভাবিক রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। রাজনীতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিন্দনীয়, অশোভন ও ঘৃণ্য। গোপন সমঝোতার মাধ্যমে যদি আরপিও সংশোধন করা হয় বা পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়Ñতবে তা নির্বাচনে সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করার সামিল এবং জাতির সামনে আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নতুন ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও অবকাঠামো সংকট, চরমে দুর্ভোগে বিয়ানীবাজারবাসী
আবুল সরকারকে মুক্তি দিলে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা মাদানীর
অনাকাঙ্খিত মৃত্যু থেকে বাঁচার দোয়া

সর্বাধিক পঠিত

পঞ্চগড়-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর
নাটোর-১ আসনে এবি পার্টির প্রার্থীর বিলবোর্ড ভাঙচুরের অভিযোগ
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প
পাটগ্রাম উপজেলায় সীমান্ত সুরক্ষা জোরদারে 'চতুরবাড়ী বিওপি'র যাত্রা
থাইল্যান্ডে যাচ্ছে তরুণ উদ্ভাবক দল সায়েন্স অ্যান্ড রোবটিকস ক্লাব
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close