পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার সুটিয়াকাঠি জাহানারা ক্লিনিকে দুই মাথা বিশিষ্ট একটি ছেলে শিশু জন্ম নিয়েছে। তবে জন্মের পাঁচ ঘন্টা পর ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটি কিছুটা অস্বাভাবিক হলেও তার মা সুস্থ আছেন।
এদিকে জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা নবজাতকটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। ঘটনাটি প্রচার হওয়ার পর কৌতূহলী জনতা ক্লিনিকে ভিড় করেন।
ক্লিনিক সূত্রে জানা যায়, নেছারাবাদের সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নে জাহানারা ক্লিনিকে চৈতি মন্ডল নামে এক নারীর সিজারের মাধ্যমে দুই মাথা বিশিষ্ট এক নবজাতকের জন্ম দেন।
জানা যায়, চৈতি মন্ডলের শ্বশুর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে এবং বাবার বাড়ি স্বরূপকাঠির রোঙ্গাকাঠি গ্রামে।
শিশুটির নিকট আত্মীয়রা জানান, আমরা আগে আলট্রাসনোগ্রাম করেছিলাম, ডাক্তার জানিয়েছেন দুইটি শিশু আছে। অপারেশন করে দেখতেছি শিশু একটি কিন্তু মাথা দুইটি।
গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. নরেশ চন্দ্র বড়াল বলেন, কনজয়েন টুইন এর কারণে এমন বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়। বাচ্চা জমজ থাকার কারণে গর্ভে দেহ এক থাকলেও মাথা আলাদা হয়। এ বাচ্চাগুলোর জন্য জটিল অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এগুলো সম্ভব হয় না। তাই বাচ্চাগুলো বেঁচে থাকার আশঙ্কা কম থাকে।
তিনি জানান, রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সময় সফল অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান) এর মাধ্যমে দুই মাথা বিশিষ্ট শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পরক্ষণেই পরিবারের সাথে কথা বলে শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু পরবর্তীতে বাচ্চার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য জন্য যখন ফোন দেওয়া হয় তখন পরিবার সূত্রে জানানো হয় আনুমানিক রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যায়নি।
কর্তব্যরত অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডা. হিমাদ্রি সাহা বলেন দেহ একটি হলেও, দুই মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুটি জন্মের পরক্ষণেই কান্না করতেছিলো। তবে বাম পাশের মাথাসহ শিশুটি বেশি কান্না করতেছিলো। ডান পাশের মাথাসহ শিশুটি তুলনামূলক কম কান্না করতেছিলো। অর্থাৎ ডান পাশের থেকে বাম পাশের মাথার শিশুটি বেশি সচল ছিলো।
কেকে/ আরআই