দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) দেশের ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩১০ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির অংশগ্রহণে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। হাবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সংস্থার আয়োজনে এই সম্মেলন চলবে আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১-এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এসএম এমদাদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে মো. এনামউল্যা বলেন, ‘একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি এ ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে।’
‘তোমাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম অনেক সহযোগী হবে— বিশেষ করে পড়াশুনা শেষে চাকরি জীবনে তোমরা এর সুফল পাবে। তোমাদের অনেকের একাডেমিক ফলাফল ভালো। কিন্তু একটা জবের জন্য যে স্কিল প্রয়োজন, সেটা হয়তো তোমার নেই। সেক্ষেত্রে এ ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ কাজে আসবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমরাই সেই জেনারেশন, যারা গত বছর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছ। দেশটা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছিলো, তোমরা সেটাকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছো। নিজের জীবনের কথা না ভেবে তোমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও দেশের সার্বভৌমত্বের কথা ভেবেছো। এ জন্য আমরা তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ১৮৫৫ সালের ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে।
কেকে/এমএ