রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মরত ১২৯ জন কর্মচারী টানা ১৬ মাস ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জে. ডিলাক্স চ্যানেল কোম্পানি লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্লিনার ও সিকিউরিটি পদে কাজ করে আসছিলেন। কোম্পানিটির টেন্ডার মেয়াদ শেষ হয় ২০২৪ সালের জুনে। এরপর থেকে নতুন টেন্ডার না হওয়ায় তারা বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমানে ৯১ জন ক্লিনার ও ৩৮ জন সিকিউরিটি কর্মচারী দায়িত্বে আছেন। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কেউই কোনো বেতন পাননি।
হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজার আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। বেতনের আশায় দিন গুনছি। অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে আবার সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাস গেলেই তাদের বাসা ভাড়া দিতে হচ্ছে ধারদেনা করে।
ক্লিনার সুপারভাইজার রাকিব বলেন, দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে কষ্টে দিন কাটছে। ঢাকায় থাকা, ঘরভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে। গ্রামের বাড়ি থেকেও টাকা এনে চালাতে হচ্ছে।
কর্মচারীরা জানান, হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ওয়াদুদ চৌধুরী ও সহকারী পরিচালক ডা. মেজবাহ তিন মাসের বেতন বিভিন্ন উৎস থেকে অনুদান এনে পরিশোধ করেছেন।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্প থেকে এসব কর্মচারীর বেতন দেওয়া হতো, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের ৩০ জুনে। ফলে বর্তমানে প্রকল্প বা বরাদ্দ না থাকায় তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে।
সমস্যা সমাধানে হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে। কর্মচারীরা দ্রুত সমাধান চেয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কেকে/ আরআই