আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস। ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ডিম দিবস।
‘শক্তি ও পুষ্টিতে ভরপুর ডিম’- এ স্লোগান সামনে রেখে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পালন করছে এবারের দিবসটি।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম এমন একটি খাবার যাতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদানই রয়েছে। সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী এই খাদ্যটি শিশু থেকে বৃদ্ধ— সব বয়সের মানুষের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
পৃথিবীর যে কয়েকটি খাবারকে ‘সুপার ফুড’ বলা হয়, ডিম তার একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ব্যক্তি বছরে গড়ে প্রায় ১৩৬টি ডিম পায়।
শুধু পুষ্টির দিক দিয়েই নয়, ডিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রান্না ও খাদ্য সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেও পরিচিত।
দেশের পোল্ট্রি খাতের বৃহৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিপিআইসিসি এবং ওয়াপসা- বাংলাদেশ শাখার যৌথ আয়োজনে আজ বিশ্ব ডিম দিবস পালন করা হবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘স্থানীয় খামারিদের সহায়তা ও বাজার ব্যবস্থাপনা জোরদার করলে দেশে ডিম উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব। এতে পুষ্টিঘাটতি পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে এই খাবারটি।’
বলে রাখা ভাল, যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন ১৯৬৪ সালে বিশ্বব্যাপী ডিমের মানোন্নয়ন ও জনপ্রিয়করণের উদ্যোগ নেয়। তাদের উদ্যোগেই ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস।
কেকে/ এমএ