‘ফুটসাল’ হলো দ্রুতগতির, ফুটবলের চেয়ে কম খেলোয়াড় নিয়ে খেলার একটি সংস্করণ। যা সাধারণত একটি শক্ত, অভ্যন্তরীণ কোর্টে খেলা হয়। প্রতি দলে পাঁচজন খেলোয়াড় থাকে এবং বলের বাউন্স কম হওয়ায় বল নিয়ন্ত্রণ, দ্রুত পাসিং ও কৌশলগত দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এটি ছোট মাঠে খেলা হয়, যেখানে বলের আকার ও ওজনও সাধারণত ফুটবল বলের চেয়ে ভিন্ন হয়।
খেলোয়াড় সংখ্যা : প্রতি দলে সাধারণত ৫ জন খেলোয়াড় থাকে, যার মধ্যে একজন গোলরক্ষক। ১৯৩০ সাল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফুটসাল খেলা হয়ে আসছে।
ফুটসাল খেলা। ছবি : সংগৃহীত
মাঠের আকার : ফুটসালের সঙ্গে ফুটবলের বড় পার্থক্য মাঠের আকারে। ফুটবল মাঠের চেয়ে স্বভাবতই দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে অনেক ছোট হয় ফুটসালের মাঠ। সাধারণত ২৭ গজ দৈর্ঘ্য ও ১৭ গজ প্রস্থ থেকে শুরু হয়ে ৪২ গজ দৈর্ঘ্য ও ২৭ গজ প্রস্থ পর্যন্ত হতে পারে ফুটসাল মাঠ। এটি একটি ছোট এবং শক্ত পৃষ্ঠের কোর্টে খেলা হয়, যা বাস্কেটবল কোর্টের আকারের মতো হতে পারে। ফুটসালের জন্য ব্যবহৃত বলটি কিছুটা ছোট এবং ভারী হয়, যার ফলে বাউন্স কম হয়।
ফুটসাল খেলা
বল ও খেলার সময় : ফুটসাল মাঠ সাধারণত কৃত্রিম টার্ফ বা ঘাসের হয়। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে শক্ত পৃষ্ঠ যেমন ভিনাইল বা প্লাস্টিক দিয়েও ফুটসাল মাঠ তৈরি করা হয়। ফুটসালে চার সাইজের বল ব্যবহৃত হয়, যার ওজন ৪০০ থেকে ৪৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। মোট ৪০ মিনিটের খেলায় ২০ মিনিট পর বিরতি।
ফুটসালে কিছু নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। পেনাল্টি শট নেওয়া হয় পোস্টের ৬ মিটার দূর থেকে। এক দল যদি এক অর্ধে ৬ বা তার বেশি ফাউল করে, তবে প্রতিপক্ষ একটি পেনাল্টি পায়। বল ধরার পর গোলরক্ষক চার সেকেন্ডের মধ্যে বল না ছাড়লে প্রতিপক্ষ একটি ফ্রি-কিক পায়। ফুটবলে যেমন থ্রো-ইন থাকে, ফুটসালে থাকে কিক-ইন।
ফুটসাল খেলোয়ার
১৯৮৯ সাল থেকে ফিফা ফুটসাল বিশ্বকাপ আয়োজন করে আসছে। তিন, চার, পাঁচ বছর অন্তর হয় আসরটি। বাংলাদেশে বেশ কিছু ক্লাব এবং একাডেমি রয়েছে, যেখানে ফুটসাল খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। মূলত অ্যামেচার ও করপোরেট পর্যায়ে এটি বেশি খেলা হয়।