নানান নাটকীয়তা ও সমালোচনার পর অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি নির্বাচন শেষ হয়েছে। নিরুত্তাপ নির্বাচন। বিসিবির নির্বাচনের ফল নিয়েও ছিল না তেমন কোনো কৌতূহল। তবে ২৫ জনের মধ্যে এমন একজন পরিচালক হয়েছেন, যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আবেদনও করেছিলেন।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা এনএসসি কোটায় নির্বাচিত হওয়া দুজনের মধ্যে একজন এম ইসফাক আহসান।
যিনি বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন মতলব (উত্তর-দক্ষিণ) থেকে মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন। চাঁদপুর-২ আসনে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচার-প্রচারণার ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, শেখ মুজিবের বন্দনা গাইতে দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ার পেইজে। গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত দল আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী হতে চাওয়া এম ইসফাক আহসান কিভাবে বিসিবির নির্বাচনের সুযোগ পেল, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন।
তিনি নির্বাচন করেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা এনএসসি কোটায়। যেটা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভূক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। যার প্রধান হলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি কীভাবে জুলাই গণহত্যা করা দল আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে বাছাই করলেন সে প্রশ্নও করছেন নেটিজেনরা।
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য এসএম মফিফুল ইসলাম সরকার তার ফেসবুকে লিখেছেন, নাবালক ও দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টার চোখ ধাধানো সংস্কার।
কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন সুমন লিখেছেন, কত টাকার বিনিময়ে পদ দিলেন স্যার ?
মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রদলের নেতা তানজিল প্রধান লিখেছেন, যেখানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার, যেখানে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয় বিসিবির পরিচালক!!
কেকে/বি