সিলেটের সাদাপাথর ও বালু লুটের শীর্ষ আসামি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ মোট ১৭টি মামলা রয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি সাদাপাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুট এবং বিভিন্ন স্থানে বেআইনি বালু উত্তোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া চারটি মামলায় আলফু মিয়া শীর্ষ আসামির তালিকায় ছিলেন। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তিনি এবং তার আশপাশের কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাতের আঁধারে পাথর ও বালু লুট করতেন।
সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে সিলেট অঞ্চলের কোয়ারিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু পরে আপোষ করে আলফু চেয়ারম্যান ফের লুটের রাজত্ব শুরু করেন। স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ এপ্রিল থেকে বালু মহালের ইজারা দেখিয়ে সাদাপাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় প্রকাশ্যে লুটপাট শুরু হয়, যা চলে ১০ আগস্ট পর্যন্ত।
এর আগেও একাধিক আলোচিত ঘটনায় আলফু মিয়ার নাম আসে। ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জে গুলি করে পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আলী (৩৫) হত্যা মামলায় তিনি ছিলেন প্রধান আসামি। পরে ২৬ আগস্ট দেশত্যাগের সময় তামাবিল স্থলবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ ছাড়া আরও দুটি হত্যা মামলাসহ সিলেট জেলার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বলেন, ‘কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
কেকে/ আরআই