নেত্রোকানা জেলার আটপাড়া উপজেলায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৫ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী মিতু আক্তার। উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের দেওশ্রী গ্রামের মৃত মোগল মিযার ছেলে কায়েস মিয়ার বাড়িতে এ অনশনে বসে মিতু। মিতু ও কায়েস একই গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে মিতু আক্তার তার প্রথম স্বামী মিজানুর রহমান ও দুই সন্তান রেখে কায়েস মিয়ার বাড়িতে যায়। কায়েস স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়ায় ১০ দিন অনশনে বসার পর তার বড় ভাই সানোয়ার ঢাকায় নিয়ে যায়। মিতু চলে গেলে কায়েস তার সাথে যোগাযোগ করে ঢাকায় যায়। সেখানে দুইজন বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার দেনমোহরে মিতুকে ৩ সেপ্টেম্বর কায়েস বিয়ে করে। বর্তমানে মিতু তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা। মিতু অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে গোপনে বাড়িতে চলে আসে কায়েস। মিতু খোঁজাখুজি করে বাড়িতে আসলে কায়েস বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এমন কি কায়েসের বসতঘর তালা ঝুলিয়ে পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র চলে যায়। মিতু বর্তমানে বাড়ির সামনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দেওশ্রী গ্রামের বাড়িতে গেলে স্বামী কায়েসকে পাওয়া যায়নি। তার বসতঘরটি তালা ঝুলিয়ে কায়েসের মা অন্যত্র চলে গেছে।
মিতু আক্তার বলেন, ‘কায়েসের বাড়ি ও আমার বাড়ি একই গ্রামে থাকায় আমার বিয়ের আগেই তার সাথে পরিচয় ছিল। আমার বিয়ে হওয়ার পর থেকেই সে আমার বাসায় আসা যাওয়া করত। একপর্যায়ে আমার স্বামী মিজানুরে সন্দেহ হয় এবং বাসা থেকে আমাকে বের করে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিরুপায় হয়ে দুই সন্তান রেখে বিয়ের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে কায়েসের বাড়িতে গত ডিসেম্বরে ১০ দিন অনশন করে তাদের মন না গলায় আমার ভাই সানোয়ার আমাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। কায়েস আমার সাথে যোগাযোগ করে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করি এবং রেজিস্ট্রি মূলে আমাকে বিয়ে করে। বর্তমানে আমি তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা। আমি আমার সন্তানের স্বীকৃতি এবং স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কায়েসের বাড়িতে আসলে তারা সবাই চলে যায়। এখন খেয়ে না খেয়ে তাদের পরিত্যক্ত একটি বসতঘরে বসবাস করছি। যতদিন পযর্ন্ত আমার সন্তান এবং আমার স্বীকৃতি না পাই, ততদিন আমি কোথাও যাব না।’
আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমার নলেজে নেই।’
এ ব্যাপারে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ নূর আলম বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/ এমএ