প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুর জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শরীয়তপুরের শত শত ছাত্র জনতা।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অরাজনৈতিক সংগঠন ‘জাগো শরীয়তপুর’ এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়।
বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বর থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা সড়কে বসে পড়ে। এতে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের দুই পাশে প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জাগো শরীয়তপুরের আহ্বায়ক আমিন মোহাম্মদ জিতু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন হাওলাদার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির ও জেলা শিবিরের সভাপতি শাখাওয়াত কাওছার।
বক্তারা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে শরীয়তপুর ফরিদপুরের বিপরীতে অবস্থিত। অপরদিকে রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিভাগের সঙ্গেই প্রশাসনিকভাবে থাকতে চায়। ফরিদপুর বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হলে সাধারণ মানুষকে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হবে বলে তারা মনে করেন। ২০১৫ সালে ফরিদপুর বিভাগ ঘোষণার উদ্যোগ নিলে শরীয়তপুরে ব্যাপক আন্দোলন হয়। পরে ২০২২ সালে ‘পদ্মা বিভাগ’ নামে প্রস্তাব এলেও তা নিকার বৈঠকে অনুমোদন না পাওয়ায় বাস্তবায়িত হয়নি।
বক্তারা আরো বলেন, শরীয়তপুরবাসীর দাবি উপেক্ষা করে যদি ফরিদপুর বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে তারা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
সম্প্রতি গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রি-নিকার বৈঠকে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে নতুন বিভাগ করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলে শরীয়তপুরে ফের আন্দোলন শুরু হয়। ওইদিনই জেলার বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কেকে/ এমএস