চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং গ্রামের একটি সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগীরা জানান, পাইন্দং গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাড়ি সড়কটি প্রতিদিন হাট-বাজার ও স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসাসহ নিত্য প্রয়োজনের সব কাজে ব্যবহার করেন তারা। হঠাৎ গত পাঁচ দিন আগে স্থানীয় বাসিন্দা কাজী মোহাম্মদ তাহের ও ওসমাগ গণি হাসেমসহ আরও কয়েকজন মিলে দীর্ঘদিনের এই সড়কটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এতে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় পুরো বাড়ির।
ভুক্তভোগী কাজী মোহাম্মদ ভুট্টু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লোকজন ওই রাস্তাটি সুন্দরভাবে ব্যবহার করে আসছিলাম। হঠাৎ পাঁচ দিন আগে এভাবে সড়কটি বন্ধ করে দেওয়ায় ছোট-বড় গাড়ি নিয়ে আমরা কেউ আসা-যাওয়া বা বাইরে যেতে পারছি না। এতে অনেকটাই আটকা পড়েছি।’
একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ওই গ্রামের বাসিন্দা কাজী মোহাম্মদ তাহের ও ওসমাগ গণি হাসেমসহ কয়েকজন ও তাদের সহযোগীরা বাঁশের বেড়া দিয়ে পারিবারিক রেশারেশির সুযোগে সড়কটি তাদের পৈত্রিক দাবি করে এবং খাস জমিতে সড়ক হওয়ার কথা বলে আটকে দেয়। এতে বাড়ির বহু মানুষ এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আধা কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির মুখে কিছু অন্তর অন্তর বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এতে এলাকার লোকজনের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। সড়ক ধরে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছেন না।
গ্রামের বাসিন্দা কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বসতবাড়ির একমাত্র চলাচলের সড়ক এটি; যা বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গাড়িতো দূরের কথা; বাজার করা, চিকিৎসার জন্য যাওয়া কিংবা সন্তানদের স্কুল-কলেজে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে অন্তত অর্শধতাধিক পরিবার এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
অভিযোগের বিষয়ে কাজী মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সড়কের পাশে একাধিক জমিজমা আমাদের পৈত্রিক থাকা সত্তেও আমার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া সন্তানকে সড়ক ধরে হাঁটা-চলাতে বাঁধা দেন। তাই, বাঁশের বেড়া দিয়ে সড়ক বন্ধ করেছি। এতে কোনো সমস্যা তো দেখছি না। এছাড়াও ভুট্টু ও কামালদের সঙ্গে আমাদের জমা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এলাকায় তারা খুব খারাপ মানুষ।’
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি চরম অন্যায়। এভাবে কেউ যাতায়াতের সড়ক অবরুদ্ধ করতে পারেন না। এ বিষয়ে আমাকে এখনো কেউ জানায়নি। জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/ এমএ