রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের লক্ষ্যে ২য় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সায়মা হক বিদিশা, ঢাবি ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন মো. তারিক।
এছাড়া একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি কাজের পরামর্শক দল হিসেবে বেরোবির ৬টি অনুষদ ও ২২ টি বিভাগের শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থীরা মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বিশেষজ্ঞবৃন্দ জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সুদূরপ্রসারী এবং যুগোপযোগী মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
তারা বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অগ্রগতির জন্য ১০ বছর (২০২৫-২০৩৫) মেয়াদভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এই একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
তারা আরও বলেন, বেরোবির একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানে আধুনিক ও সময়োপযোগী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। আগামীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য একটি কার্যকর ও টেকসই একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন। এজন্য আধুনিক কর্মমূখী শিক্ষা, বাংলাদেশ তথা উত্তরাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থানের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে নতুন অনুষদ, বিভাগ, ইন্সটিটিউট ও সেন্টার চালু করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় বেরোবি উপাচার্য বলেন, আগামী দিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে আনতে হলে যথাযথ মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন। আমাদের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান এর ওপর নির্ভর করবে অবকাঠামোগত ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টারপ্ল্যান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমিত সংখ্যক আয়তনকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে। একাডেমিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বেরোবিকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এজন্য তিনি সকল অংশীজনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
কেকে/ আরআই