আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ১৬ সদস্যের শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছিল। ২২শে আগস্ট ঘোষিত দলে সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে ৩ বছর পর নুরুল হাসান সোহানকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। বর্তমানে এশিয়া কাপ বাংলাদেশের চলমান ৫ ম্যাচের মধ্যে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ ব্যাতিত বাংলাদেশের একাদশে জায়গা মিলছে না। প্রবাসীরা আক্ষেপ করেই বলছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুর্ভাগার নাম নুরুল হাসান সোহান।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০২২ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তার সঙ্গে দুই বছর পর দলে ফিরেছেন সাইফ হাসান এবং সুযোগ পেয়েছিলেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে তিনটি। এছাড়া সুপার ফোরে সুযোগ পাওয়ায় ফাইনালের আগে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের মধ্যে ইতোমধ্যে দুই ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতলেও ফিনিশিংয়ের ব্যার্থতার প্রমাণ স্পষ্ট বুঝা গেছে। ভারতের বিপক্ষে ইঞ্জুরির কারণে অধিনায়ক ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস না থাকায় দায়িত্ব পালন করেন জাকের আলী অনিক। অথচ দলে নুরুল হাসান সোহান থাকার পর ও বার বার অবহেলিত হচ্ছেন।
এদিকে সোহানের বাদ পড়া মেনে নিতে পারেছেন না প্রবাসী বাংলাদেশী ভক্তরা। ফর্মে থাকার পরও কোচ সিমন্স টিম কম্বিনেশনের দোহাই দিয়ে সোহানকে ভারতের বিপক্ষে একাদশে না রাখায় সমালোচনার ঝড় তুলছেন প্রবাসীরা।
এশিয়া কাপে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৫ ম্যাচের মধ্যে গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইনিংসের শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। তার অবদানে ১৫৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনার পর বাঁচা-মরার ম্যাচে ৮ রানের জয় তুলে নেয় লিটন দাসের দল। সেই ম্যাচে দলের সেরা ফিল্ডার ও ছিলেন তিনি। ১২ রানের ছোট ক্যামিও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল সোহানের ইনিংসটি। এরপরও সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে একাদশে জায়গা হয়নি তার।
এদিকে ভারতের বিপক্ষে অধিনায়কত্ব ও উইকেটকিপারের দায়িত্ব পালন করা জাকের আলী অনিকের অবস্থা আরও জটিল। এশিয়া কাপে চার ম্যাচ খেলে এখনো একটি ছক্কাও মারতে পারেননি! ৪ ইনিংসে করেছেন ৬২ রান, স্ট্রাইক রেট ১১৯.২৩। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসই তার সেরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো ইনিংসের শেষ ১১ বলেই খেলেছেন চারটি ডট। অপরাজিত থেকেছেন ১৩ বলে ১২ রানে। সেই ব্যাটিং নিয়েই হয়েছে প্রবল সমালোচনা। সুপার ফোরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪ বলে ৯ রান করলেও বাজে শটে স্টাম্প আউট হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে চাপের ম্যাচে যদি আবার খোলস ছেড়ে বেরোতে না পারেন, তবে বিপদ আরও বড়!
প্রবাসীরা বলছেন, লিটনের অবর্তমানে সোহানের চেয়ে বিকল্প কেউ নেই। অধিনায়কত্ব বা উইকেটকিপার দুই দিকেই সোহান অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ। সোহানের প্রতি বার বার অবিচার করা হচ্ছে। ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে সোহান নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন এটাই প্রত্যাশা প্রবাসীদের।
কেকে/এজে